নারায়ণগঞ্জ বার্তঅ ২৪ ( নিজস্ব সংবাদ দাতা ) : কাশিপুর ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ডের যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি শাহীন আলম এমপি শামীম ওসমান সহ আওয়ামী লীগের নেতাদের ছবি, ফেস্টুন ব্যানারে ব্যবহার করে নানান ধরনের অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। শাহীন আলমের রাজনৈতিক গুরু শফিউল্লাহ শফির সাথে পল্টি মেরে নিজে একটি গ্রুপ তৈরী করে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে।
শফিউল্লাহ শফির সাথে সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে শাহীন আলমকে কাশিপুর ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পদ হতে বহিষ্কার করা হয়। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বিভিন্ন ব্যানারে শাহীন আলম নিজের পদ ব্যবহার করে যাচ্ছে। শাহীন আলম আয়োজিত শোক দিবসে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আইয়ুব আলী।সাইফউল্লাহ বাদলের ঘনিষ্ঠ লোক হিসেবে পরিচিত আইয়ুব আলী। অথচ বাদলের নির্দেশে শাহীন আলমকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। উক্ত শোক দিবসে আরো উপস্থিত ছিলেন কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এম এ সাত্তার, হাজ্বী মো. সালাউদ্দিন প্রমুখ। শাহীন আলম বহিস্কৃত হওয়া সত্বেও পরিচয় দিয়ে নানান অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।
পদ থেকে বহিষ্কার হলেও এখনো পর্যন্ত দলীয় পদ ব্যবহার করায় সাধারণ নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বলেন, শামীম ওসমান এমপি, সাইফউল্লাহ বাদলের ছবি ব্যবহার করায় তাদের সুনাম ক্ষুন্ন করছে শাহীন আলম।
কাশিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান শ্যামল বলেন, যেহেতু বহিস্কৃত দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করেছে। এখানে সাবেক পদবী ব্যবহার করতে পারতো। যেহেতু কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তারা কেন প্রতিবাদ করেনি। তারা ভাল বলতে পারবে।
কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব আইয়ুব আলী বলেন, কাশিপুরে ৪৪ টি স্পটে শোক দিবস পালিত হয়েছে। শাহীন আলম হোন্ডা নিয়ে বহরে ছিল। দলীয় কর্মী না করা যায়নি। তবে বহিষ্কৃত এটা ঠিক।
ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলীর কাছে শাহীন আলমের বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা।