নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের দুইটা সরকারি হাসপাতাল আছে একটা ফতুল্লা আরেকটা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়। এই দুই হাসপাতালের উপর ২৪ জন ডাক্তার টাকা নেয়। মাসে মাসে বেতন নেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, হাসপাতালই নাই। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকালে সদর উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নে মশক নিধনে ফগার মেশিন ও ওষুধ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষদেরচেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগ নেতা নাজিম উদ্দিন, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফউল্লাহ বাদল, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, ফতুল্লা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী প্রমূখ।
হাসপাতালের বিষয়টি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন বলে তরুণ প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমরাও আওয়াজ তুলো। শুধু ফেসবুক নিয়া থাইকো না, গার্লফ্রেন্ডের লগে থাইকো না। এই দেশ আমাদের। নীতি কথা আমরা সবাই বলি আবার খাবারের মধ্যে বিষ মিশাই। তোমরা যদি নিজেরা নিজেরা সচেতন না হও, তাহলে তোমার পরিবেশ পরিস্কার হবে কীভাবে? তোমরাইতো কিছুদিন আগে, স্কুলের ছেলেরা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে রাস্তায় নেমেছিলে। এখনও নামো। মশা নিধনের উদ্দেশ্যে নামো। সিটি করপোরেশন ময়লা পরিস্কার না করলে তুমি করো। মানুষের ঘরে ঘরে যাও। যেয়ে বলো, দেখো কীভাবে পরিস্কার করতে হয়।
সিটি করপোরেশনের প্রতি প্রশ্ন রেখে শামীম ওসমান বলেন, আপনাদের যে টেক্স দেই, ময়লাটা এখানে থাকে কেন? একটা জায়গা ছিলো ময়লা ফেলা হতো। আমরা ওখানে ময়লা ফেলা বন্ধ করে পার্ক বানায়ে দিলাম। ভাবছিলাম সিটি করপোরেশনের ময়লা ফেলা বন্ধ হইবো। ওই ময়লার উপর দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া শাহ্ নিজাম পার্ক করছে। ভাবলাম তারা সচেতন হবে, হইলো না।
সদর উপজেলা পরিষদের ইউএনও এর প্রতি নির্দেশ দিয়ে সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, আমি আপনাকে বলবো, কাগজ কলম নিয়ে মাঠে নামেন। যারা যারা এইখানে ময়লা ফেলায় তাদের নাম লিখেন, কেইস করা শুরু করেন।