নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : রূপগঞ্জে একটি বহুতল ভবনের বাড়ির মালিক ও নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধীনে পূর্বাচল জোনালের গাফিলতিতে বিদ্যুৎ স্পর্শে হাত হারিয়েছে ৮ বছরের শিশু মীম আক্তার। গত ৫ জুলাই শুক্রবার উপজেলার চনাপাড়া ১ নং ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মীম আক্তারের বাবা সিরাজুল ইসলাম জানান, তিনি উপজেলা চনপাড়া এলাকার বাসিন্দা। শাহ আলম মিয়ার বহুতল ভবনের ২য় তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছেন। ওই ভবন নির্মানের পূর্বেই রাস্তার পাশে থাকা ১১ হাজার বোল্টের বিদ্যুৎ খুঁটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো। একাধিকবার এ খুঁটিতে থাকা ট্রান্সফরমার থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। সে সময় স্থানীয়রা পূর্বাচল জোনাল অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মৌখিকভাবে এ খুঁটি সরিয়ে নেয়ার দাবী জানিয়েছেন। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগের কেউ তাতে কর্নপাত করেননি। তাছাড়া বাড়ির মালিক শাহ আলমকে বারবার বলার পরও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে অনিরাপদ বিদ্যুতের তারে শিশু মীম আক্তার ৫ জুলাই শুক্রবার সকালে কাপড় শুকাতে গেলে বিদ্যুতায়িত হয়। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
এদিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ জুলাই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে চিকিৎসক তার এক হাত কেটে ফেলে দেয়। এছাড়াও ওই শিক্ষার্থীর পেটেও গুরুতর আঘাত পান। বর্তমানে শিশুটি শঙ্কামুক্ত নয় বলে দাবী করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় ১৫ জুলাই সকালে ক্ষতিপূরন চেয়ে ও আইনি বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগীর পিতা সিরাজুল ইসলাম রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাড়ির মালিক শাহ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একাধিকবার বিদ্যুৎ বিভাগকে জানিয়েছি কিন্তু তারা খুঁটি সরায়নি। তাই এমনটা ঘটেছে। শিশু মিমের চিকিৎসা খরচ চালাতে চাইলেও তার পিতা সিরাজুল নিচ্ছে না বলে দাবী করেন তিনি।
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যুতের লোকদের খুঁটি সরিয়ে নিতে বললে ৮০ হাজার টাকা চায়। তা দিতে পারিনি বিধায় তারা কেউ যোগাযোগ করেনি।
পূর্বাচল জোনাল কার্যালয়ের ডিজিএম আব্দুর রহিম বলেন, চনপাড়ার এ খুঁটি বিষয়ে জেনেছি। ঘটনাটি দু:খজনক। যে সকল কর্মকর্তা জানার পরও ব্যবস্থা নেয়নি তা খতিয়ে দেখা ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আঁওতায় আনা হবে।