মদনপুরে সেতু থাকলেও চলাচলের সড়ক না থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদ দাতা ) : বন্দর উপজেলাধীন মদনপুর ইউপির ১নং ওয়ার্ডের কেপ্তারবাগ গ্রাম থেকে মদনপুর রিয়াজুল উলুম আলিম মাদ্রাসা সংলগ্ন বাজারে চলাচলকারী গ্রামবাসীর সুবিধার্থে বাজারের উত্তর পাশে খালের উপর সেতু নির্মাণ করা হলেও সেতুর দুই পাশে সংযোগস্থলে রাস্তা না থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌছেছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেটে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি ৩০ লক্ষ ৯০ হাজার ২০ টাকা ব্যয়ে গত বছরের জুন মাসে নির্মাণ কাজ শেষ করা হয় এবং উক্ত সেতুটি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান উদ্বোধন করেন।

বর্তমানে সেতুটির দুই পাশের সংযোগস্থলে সেতু বরাবর মাটি ভরাট না করার দরুণ, কোন রাস্তা না থাকায় জনগণ উক্ত সেতুটি ব্যবহার করতে পারছে না এবং অবহেলায় সেতুটি পড়ে থাকায় সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে স্থানীয় হাশেম মিয়া, মোবারক আলী, বাবুল মিয়া, শাহজাহান, আলী হোসেন ভূঁইয়া, জহির, আ: কাদির, আলাউদ্দিন, আশরাফ, আ: রহমান, তোফাজ্জল ও নাঈম সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা সেখানে উপস্থিত হয়ে সেতুর সংযোগস্থলে রাস্তা নির্মাণে এমপি সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে আরও জানান, এখানে ব্রীজ সংযুক্ত রাস্তা না থাকায় উক্ত কেপ্তারবাগ গ্রামের কয়েক শত শিক্ষার্থী নিকটস্থ মদনপুর রিয়াজুল উলুম আলিম মাদ্রাসা সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না, যার ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহণ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

তা ছাড়া কয়েক শত কর্মজীবী মানুষও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শ্রমের জন্য যেতে পারছে না। ইউনিয়নের অন্য সকল সেতু ও রাস্তার অবস্থা কিছুটা চলাচলের উপযোগী হলেও এ রাস্তাটি মারাত্মকভাবে অবহেলীত। বর্ষা মৌসুমে সেতুর সংযোগস্থল পানিতে নিমজ্জিত থাকে এবং শুকনা মৌসুমেও রাস্তায় মাটি না থাকায় ও রাস্তাটি ঢালু-সরু হওয়ায় আমরা চলাচল করতে পারছিনা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দ্রুত কাজ শেষ করে তাদের বিল নিয়ে গেছে কিন্তু আমরা সেতুটির কোন সুফল ভোগ করতে পাচ্ছিনা।

এ বিষয়ে মদনপুর ইউপির ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, জনগণের ভোগান্তির কথা সমন্ধে আমাকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি আমি আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবগত করবো এবং রাস্তাটি যাতে নির্মাণ করে জনগণের ভোগান্তি লাঘব করা যায়, সে জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

add-content

আরও খবর

পঠিত