নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : ৪ এপ্রিল সোমবার নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও নিহত ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বী তার ফেসবুক আইডি স্ট্যাটাস উল্লেখ করেন, ২০১১ সালে জালাল উদ্দিন নামক ব্যাক্তির কাছ থেকে একটি জায়গা কেনার জন্যে তৃতীয় ব্যাক্তি হিসেবে এড. মাসুদ উর রউফের কাছে আমি তারিখ ছাড়া সত্তর লাখ টাকার দুটি চেক প্রদান করেছিলাম। উল্লেখ থাকে যে জায়গাটি আমার নামে রেজিস্ট্রি করার পরে চেক দুটি মাসুদ উর রউফ জালাল উদ্দিনকে হস্তান্তর করবে। প্রথমে জানা ছিলনা জালালুদ্দিন শামীম ওসমানের মামা শ্বশুর। কিন্তু চেক দু’টি পেয়ে মাসুদুর রউফ ও জালালুদ্দিন যোগসাজসে শামীম ওসমানের নির্দেশে কোনও জায়গা রেজিস্ট্রি করে না দিয়েই চেক দু’টি ব্যাংকে জমা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পরে আমি একই আদালতে মাসুদ উর রউফ ও জালাল উদ্দিনে বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতারনার মামলা করি। কিন্তু আমার দায়ের করা মামলাটি অগ্রসর না করে আমার বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলাটি দ্রুত সম্পন্ন করে আমার বিরুদ্ধে রায় প্রদান করা হয়।
শামীম ওসমান তার স্ত্রীকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মানহানীর মামলা করায়। শামীম ওসমান তার অস্ত্রসহ ক্যাডারদেরকে ব্যাংকের ডিজিএম এর কাছে পাঠিয়ে তাকেও আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য করে। শেষের মামলা দু’টি উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত করা হয়েছে।
শামীম ওসমানের উদ্দেশ্য এ সব মামলার কারণে আমি হয়তো আর তাদের খুনী পরিবার বলবো না, তাদের সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, লুটেরা বলবো না। ত্বকী হত্যার বিচার চাইবো না। তারা যে আশিককে হত্যা করেছে, মিঠুকে হত্যা করেছে, বুলু সাহাকে হত্যা করেছে, ১৯৮৮ সালে কামাল ও কালামকে খুন করেছে তা বলবো না।
শামীম ওসমান যদি আমার বিরুদ্ধে এক হাজারটা মামলাও দায়ের করে তার পরেও বলবো ওসমান পরিবার একটি খুনী পরিবার। সন্ত্রাস ও খুন-খারাবী ওদের নেশা ও পেশা। ওরা নিজেরাও জানে নারায়ণগঞ্জের মানুষের যে ক্ষতি ওরা করেছে নারায়ণগঞ্জের মানুষ এর হিসাব কড়ায়-হন্ডায় আদায় করে নেবে। আর তাই সরকার যখন ওদের পেছনে থাকে না তখন ওরা দেশ ছেড়ে পালায়। সরকার পেছনে থাকলে ওরা সিংহ-পুরুষ। সরকার যখন পেছনে থাকে তখন ন্যেড়ি-বিড়ালও সিংহ বনে যায়। তবে এবার পালাবার সুযোগ পাবে না।