নারায়ণগঞ্জ র্বাতা ২৪ (স্টাফ রিপোর্টার) : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ডিশ ব্যবসায়ী আব্দুল করিম বাবুকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়। এরআগে দুপুর আড়াইটায় নগরীর পাইকপাড়া এলাকা থেকে বন্দর থানা দায়ের করা এক চাঁদাবাজির মামলায় তাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। কাউন্সিলর বাবু নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান ও ৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমানের একনিষ্ঠ কর্মী।
এবিষয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো জেলা পুলিশের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বন্দর থানায় দায়ের করা ৩২ নম্বর মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার বাদী বন্দরের দক্ষিন কলাবাগ এলাকার মো. কাউসার এজাহারে উল্লেখ করেন, আসামি আব্দুল করিম বাবু দীর্ঘ দিন নারায়ণগঞ্জ শহরে ক্যাবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা করে আসছে। বন্দরে জোরপূর্বক তার লোকজনের মাধ্যমে ক্যাবল লাইনের তার কেটে ক্যাবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা করে আসছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্দর ক্যাবল নেটওয়ার্কের সত্ত্বাধিকারী পারভেজ আলম, সাইফুল ইসলাম শ্যামলের সাথে কাউন্সিলর বাবুর বিরোধ চলছিল। এককভাবে ডিশ ব্যবসার দখল ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বন্দর ক্যাবল নেটওয়ার্কের মালিকের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আব্দুল করিম বাবু।
এজাহারে বলা হয়, চাঁদা দাবির জের ধরে গত বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় বন্দরের ফরাজিকান্দা বাজারের রিতুর বাড়ির সামনের নেটওয়ার্কের মেরামত কাজ করা হলে কাউন্সিলর বাবুর নির্দেশে সজিব (৩৫), রিতু (৩২), রনি (৩৪), জুম্মান (৩৪), নিজুম ও রানাসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জন লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বেআইনি জনতাবন্ধে পথরোধ করে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করে এবং সাড়ে ১০ হাজার টাকা, দেড় লাখ টাকা মূল্যের একটি ফাইবার মেশিন ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও একটি মই নিয়ে যায়।
এদিকে জেলা পুলিশ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, কাউন্সিলর বাবুর বিরুদ্ধে এছাড়াও একাধিক মামলা রয়েছে। গত ২০১৭ সালের ১৭ মে সদর মডেল থানার ২৯ নম্বর মামলা, ২০১০ সালের ১৩ জুন একই থানার ২২ নম্বর মামলার আসামি বাবু। এছাড়া গত ২০১৩ সালের ১২ জুলাই একই থানায় দায়ের করা ১০ নম্বর মামলার আসামি সে। উক্ত মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি দেলোয়ার হোসেন ওরফে ছোট দেলু ও আসামি মো. ঝন্টু ১৬৪ ধারায় আদালতে আব্দুল করিম বাবু উক্ত মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আছে মর্মে জবানবন্দি প্রদান করেন।