নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( আড়াইহাজার প্রতিনিধি ) : আড়াইহাজারে দিদার নামে এক মাদক চোরাকারবারিকে ছাড়িয়ে নিতে ছাত্রলীগের নেতা সুজয় দাসের নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় পুলিশ সুজয়সহ দুইজনকে আটক করেছে। সে স্থানীয় গোপালদী পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উলুকান্দী এলাকার অসীম দাসের ছেলে। আটক অপরজন রামচন্দ্রী এলাকার জামালউদ্দিনের ছেলে মাদক চোরাকারবারি দিদার। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় স্থানীয় গোপালদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ছাত্রলীগ নেতার হামলায় পুলিশের এটিএসআই মামুন (বেজ-৪২১), কনস্টেবল ইমরান(বেজ-১২২৯) ও বাশার (বেজ-৮৪৪) আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ খবর পেয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে আড়াইহাজার থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গোপালদী ফাঁড়ি গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এদিকে খবর পেয়ে জেলা পুলিশের (সি-সার্কেল) আশ্রাফউদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন জানান, স্থানীয় ফাজিল মাদ্রাসার সামনে থেকে মাদক ব্যবসায়ী দিদারকে গোপালদী পুলিশ আটক করে। পরে গোপালদী পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে সুজয় দাস মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড়িয়ে নিতে গোপালদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে আসেন। ভেতরে ঢুকে সে প্রথমেই এটিএসআই মামুনের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে মামুনকে কিলঘুষি দিতে থাকেন।
পরে কনস্টেবল ইমরান ও বাশার এগিয়ে আসলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে। এদিকে এটিএসআই মামুন জানান, দিদারকে স্থানীয় ফাজিল মাদ্রাসার সামনে থেকে আটক করা হয়। পরে সুজয় দাস তাকে ছাড়িয়ে নিতে ফাঁড়িতে এসে তার সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তার ওপর হামলা করা হয়।
এটিএসআই মামুন আরও জানান, মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার সময় দিদার বিরুদ্ধে মেয়েদের উত্যক্ত করারও অভিযোগ রয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।