নারায়নগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদদাতা ) : জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে বন্দরের ফুনকুল এলাকায় অবস্থিত একটি ইটভাটার বন্দিশালা থেকে উদ্ধার পেয়েছেন নারী ও শিশুসহ ৬২ জন। বুধবার রাতে সহযোগিতা চেয়ে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে বন্দরের ফুনকুল এলাকায় অবস্থিত এবিএফ ব্রিক ফিল্ডের বন্দিশালা থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ। তারা সবাই এবিএফ ব্রিক ফিল্ডের শ্রমিক।
বন্দর উপজেলার কামতাল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হুসাইন জানান, বন্দর উপজেলা মুছাপুর ইউনিয়নের ফুনকুল গ্রামের মৃত শফর আলীর ছেলে আলী আহম্মেদ আলীম, বারপাড়া গ্রামের মৃত হাজী চাঁন মিয়ার ছেলে মিজান ও দাশেরগাঁও গ্রামের মৃত আফিজউদ্দিনের ছেলে সাহাবুদ্দিন এবিএফ ব্রিক ফিল্ডে ইট তৈরির কাজ করেন। এ ব্রিক ফিল্ডে ইট প্রস্তুত করার জন্য চুক্তিপত্র করেন শেরপুর জেলার সদর থানার জিন্নত আলীর ছেলে কুতুবউদ্দিন। প্রতিবছরের মতো এ বছরও ইট তৈরি শুরু করেন কুতুবউদ্দিন ও তার শ্রমিক দল।
গত ৩ মার্চ থেকে বৃষ্টির কারণে ইট তৈরি বন্ধ থাকে। এরপর ১ এপ্রিল রাতে ইটভাটার মালিক আলিম ও মিজানের কাছে ইট তৈরির বকেয়া মজুরি ৫০ হাজার ৫শ টাকা চাওয়া হয়। এসময় মালিক আলীম ও মিজান উল্টো তাদের কাছে ৪ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করেন। এরপর বকেয়া টাকা থেকে শ্রমিকদের খাবারের জন্য টাকা চায় কুতুবউদ্দিন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মারধর ও নির্যাতন চালিয়ে ইটভাটার একটি ঘরে আটকে রাখেন মিজান ও আলীম। অনাহারে দুইদিন অবরুদ্ধ থাকার ৯৯৯ এ ফোন করে সহযোগিতা চান শ্রমিকরা। পরে কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ ইটভাটার একটি ঘর থেকে ১৪ জন নারী ও ৯ জন শিশুসহ ৬২ জনকে উদ্ধর করে। পরে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ইয়া নবীর মাধ্যমে বকেয়া ৫০ হাজার ৫ শ টাকা আদায় করে শ্রমিকদের নিজ গ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয় বলেও জানান এসআই আনোয়ার হুসাইন।
ইটভাটার মালিক জানায়, তাদেরকে কাজের জন্য অগ্রিম ৪লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। ওই টাকা শোধ না করে শ্রমিকরা উল্টো টাকা দাবি করলে বাক বিতন্ডা হয়। এখানে কাউকে আটক করে রাখা হয়নি। শ্রমিকরা ইটভাটার ভেতরে বসবাস করে কাজ করে আসছে।