বন্দরে লাগামহীণ সিমেন্ট কারখানাগুলোর কারণে বাড়ছে দূষণ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরের মদনগঞ্জসহ লাগামহীণ বিভিন্ন সিমেন্ট কারখানাগুলোর কারণে বাড়ছে পরিবেশ দুষণ ও শব্দ দুষণ। জনজীবন বসবাসের অযোগ্য করে তুলছে। ফলে ওইসব এলাকা বসবাসরত জনসাধারনরা বিভিন্ন  ফুসফুসে ক্যান্সার, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভূগছে। এর জন্য একমাত্র দায়ী মদনগঞ্জের বসুন্ধরা সিমেন্ট, মাহমুদ নগরের ইনসি সিমেন্ট ও নবীগঞ্জ এলাকার আকিজ সিমেন্ট ফ্যাক্টরী।

আইন অনুযায়ী বায়ুতে ভাসমান বস্তুর গ্রহণযোগ্য মাত্রা ২০০ পিপিএম কিন্তু এর চেয়ে অনেক বেশি মাত্রার ধূলিকণা বায়ুতে প্রবাহিত হচ্ছে। কোনো ক্ষেত্রে তা গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে ৩ গুণেরও বেশি। ধুলোকনা কিংবা শব্দ দুষনের প্রতিরোধক বিকল্প কোন ব্যবস্থাও নাই। প্রাথমিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়াই বসুন্ধরা ইন্ড্রাট্রিজ কোম্পানীতে কাজ করছেন শ্রমিকরা। এতে করে ক্লিংকারের গুঁড়া, চুনাপাথর, ফ্লাই অ্যাশ, মাটিতে থাকা ধূলিকণা ও পারদ মিশে যাচ্ছে বায়ুতে। মারাত্মক দূষণ ঘটাচ্ছে পরিবেশের। জনজীবন হচ্ছে বিপর্যস্ত।

পরিবেশ আইন মানছে না সিমেন্ট কারাখানাগুলো। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কাগজে কলমে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ সবকিছু ঠিক থাকলেও সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বাস্তবচিত্র তার উল্টোটা। রপ্তানীমুখী কিছু প্রতিষ্ঠান নিয়ম মানলেও অন্যান্যরা ক্ষমতার প্রভাবে দিব্যি নিয়ম ভাঙ্গছে অবিরত।

সিমেন্ট কারখানার ক্ষতিকর ধূলিকণা বায়ুর মাধ্যমে পরিবেশের সঙ্গে মিশে কাঁচামাল মিশ্রণের ফলে সিমেন্ট তৈরি হয়। তাই এসব ধূলিকণা বিষাক্ত হয়ে থাকে। আশপাশের পরিবেশ, জীববৈচিত্র, কৃষিজমি ও ফসলের মারাত্মক ক্ষতি করে। প্রতিদিন কারখানাগুলোয় শত শত ট্রাক সিমেন্টের মূল কাঁচামাল ক্লিংকার আনা হয়। এসব ক্লিংকার ট্রাক থেকে নিচে ফেলার সময় চারদিক ধুলায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ট্রাক থেকে সরাসরি প্লান্টে ফেলা হলে এ ধুলার সৃষ্টি হতো না। প্যাকিং যেখানে হয়, সেখানে ধুলা হয় বেশি। বড় বড় পাথর আকৃতির ক্লিংকার ভাঙিয়ে গুঁড়াকরণ প্রক্রিয়ায়ও ধুলার সৃষ্টি হয়। এসব ধূলিকণা শ্বাসনালী দিয়ে প্রবেশ করলে হাঁপানীসহ ফুসফুসে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।

এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে যে সব সিমেন্ট কারখানা পরিবেশ দুষণ করে মানুষের ক্ষতি সাধন করে যাচ্ছে অনতিবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভির সুদৃষ্টি কামনা করছে স্থানীয় এলাকাবাসী ।

add-content

আরও খবর

পঠিত