নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্ট ) : বিপিএলের ফাইনালে টস জিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানিয়েছেন ঢাকা ডায়নামাইটস অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দীর্ঘ এক মাসের লড়াই। ৪৫টি ম্যাচ শেষে ফাইনালের রঙিন মঞ্চে দুই সাবেক চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। রোমাঞ্চের সঙ্গে মর্যাদার লড়াইও এটি। কার হাতে উঠবে বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের শিরোপা? ঢাকা ডায়নামাইটস নাকি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
ফাইনালের মহারণ শুধু একটি শিরোপার নিষ্পত্তিই নয়। এ যুদ্ধ দুই বন্ধু তামিম ও সাকিবকে দাঁড় করিয়েছে দুই ভিন্ন মেরুতে। শিরোপার অভিজ্ঞতার স্বাদ পেয়েছেন ঢাকার অধিনায়ক। অন্যদিকে, বিপিএলে এবারই প্রথম ফাইনালে তামিম। তাই স্নায়ুযুদ্ধে এক চুলও ছাড় দিতে চাইবেন না অভিজ্ঞতার দুই মূর্ত প্রতীক। এ দুজন ছাড়াও দুই দেশিয় কোচ সালাউদ্দিন ও খালেদ মাহমুদ সুজনের জন্যও এটি এক মর্যাদার যুদ্ধ।
আসরে রংপুরকে উড়িয়ে দিয়ে দাপটের সঙ্গেই ফাইনালে পা রেখেছিলো কুমিল্লা। ব্যাট হাতে এখন পর্যন্ত ৩২৬ রান নিয়ে দলের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান তামিম। এরপরেই আছেন এভিন লুইস। বল হাতে নিয়মিত আলো ছড়াচ্ছেন সাইফুদ্দিন ও আফ্রিদি। গেল ম্যাচে তো চার উইকেট নিয়ে একাই রংপুরের ব্যাটিং স্তম্ভ গুড়িয়ে দিয়েছেন সাইফুদ্দিন। ঢাকায় আছে বেশ কজন বিশ্ব মানের অলরাউন্ডার। কুমিল্লা সেখানে কিছুটা পিছিয়ে। কোচ সালাউদ্দীন তাই একক নৈপুণ্যে নয় বরং দলীয় সাফল্যেই শিরোপা জিততে বদ্ধ পরিকর।
এদিকে মাঝে কিছুটা ছন্দ হারালেও, যোগ্য দল হিসেবেই ফাইনালের টিকিট পেয়েছে ঢাকা। দক্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বল হাতেও ধারাবাহিক সাকিব আল হাসান।
আর একটি উইকেট পেলে তাসকিনের ২২ উইকেট টপকে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হবেন অধিনায়ক। তার পাশাপাশি পেস অ্যাটাকে ২১ উইকেট নিয়ে কুমিল্লাকে চোখ রাঙ্গাচ্ছেন রুবেলও। তবে, দলটির মূল শক্তি এর অলরাউন্ডাররা।
একটা জায়গায় অবশ্য টানা তিনবারের ফাইনালিস্ট ঢাকার চেয়ে এগিয়ে আছে ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। ষষ্ঠ আসরে দুইবারের দেখায় দুইবারই সালাউদ্দিনের কুমিল্লার কাছে হেরেছিলো সুজনের ঢাকা।