নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন আরামবাগ এলাকাস্থ সজীব চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের নানা অভিযোগ উঠেছে। একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছেলে হয়েও মুসলমান মা-মেয়ের সাথে তাদের গোপন সম্পর্ক নিয়েও রয়েছে অনেক গুঞ্জন। আর এবার মাদকদের সাথে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে। গোদনাইল আরামবাগ এলাকায় সাদেম আলী শেখের মেয়ে সাজু আক্তারের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে দিনের পর দিন সে এসব কার্যকলাপ করছে।
সূত্রে জানায়, প্রায় ৪/৫ বছর যাবত একজন গৃহকর্মী (কাজের বুয়া) এর মাধ্যমে ভাড়া হিসেবে বাসাটিতে প্রবেশ করে। সেখানে ভাড়া থাকাবস্থায় বাড়িওয়ালার মেয়ে সাজু আক্তারের সাথে গড়ে ওঠে শারীরীক সম্পর্ক। এ সম্পর্কের কারনে ভাড়া বাসা বাদ দিয়ে তাকে নেয়া হয় বাড়িওয়ালার থাকার ঘরে। সাজু আক্তারের স্বামীর সাথেও বনিবনা নেই। স্বামী প্রবাসী হওয়ায় সে সুবাধে সুযোগ নিচ্ছে সজীব চন্দ্র রায়। এতেই ক্ষান্ত নয় সাজু আক্তারের মেয়ে সুস্মিতার সাথেও অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে ওই লম্পট সজীব চন্দ্র রায়। বর্তমানে তার নানা কার্যকলাপে বাড়িটি ঘিরে নানা রহস্য জন্ম নিয়েছে।
এদিকে, তার বাড়ি চট্রগ্রামে হওয়ার সুবাদে সে ইয়াবাসহ মাদকদ্রব্য কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসে এমন তথ্যও পাওয়া গেছে স্থানীয়দের কাছ থেকে। মাসের মধ্যে শুধু কয়েকবারই সে বাসা থেকে বের হয়। বের হয়ে সোজা চলে যায় এস এ পরিবহন বা কোন কুরিয়ার সার্ভিসে। সেখানে গিয়ে গ্রহন করেন রহস্যময়ী প্যাকেট। একই বাড়িতে ধনী ছেলেদের নিয়ে এসে সাজু ও তার মেয়ে সুস্মিতাকে পূঁজি করে প্রতারণার অভিযোগও জানা যায়। ঢাকার আরিফ নামের ছেলের সাথে ছলনা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। সাজু আক্তারের সাদেম আলী শেখ এর আগে হোটেলের ব্যবসা করত। বর্তমানে সে মেয়েদের দিয়ে আবাসিক হোটেল খুলেছে এমন কথাও বলছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে ওই বাড়ির সামনে গিয়ে বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করেও কারো সাথে দেখা করতে পারেনি এ প্রতিবেদক। এ কারণে তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। স্থানীয়রা বলছে এ বাড়িটিতে চিটাগাং থেকে এক হিন্দু ছেলে এসে আত্মীয় পরিচয়ে থাকছে। কিন্তু কি কারণে কেন থাকছে তা জানাতে পারেননি তারা। ওই ছেলে নিজেকে গার্মেন্টস এর ব্যবসায়ী বলেও দাবী করে থাকেন।