রেলক্রসিংয়ে ফেলছেনা সিগন্যাল স্ট্যান্ড, উদাসিন কর্তৃপক্ষ!

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রি‌পোর্টার ) : নগরীর গলাচিপা, উকিলাপাড়া ও ইসদাইর বাজার সহ রেল ক্রসিংয়ের বেশ কিছু স্থানে ফেলা হচ্ছে না সিগন্যাল ষ্ট্যান্ড। সময়মত ট্রেন চলাচল করলেও দেখা মিলছেনা সিগন্যাল স্ট্যান্ড ফেলার জন্য দায়িত্বরত লাইনম্যানকে। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এসব স্থান দিয়ে চলাচল করে যাচ্ছে হাজারো পথযাত্রী ও যানবাহন।

পহেলা ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সহ কয়েকদিনই গলাচিপা ও উকিলপাড়া এলাকাস্থ রেলক্রসিংয়ে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। ব্যস্ততম এসবস্থানে হুইসেল বাজিয়ে নিজ গতিতে ট্রেন আসছে। এরমধ্যেই যেন পথচারী আর যানবাহনের চালকের তাড়া খুব বেড়ে গেল। ক্ষণিকের মধ্যেই শুরু হয়ে গেল রেল লাইনটিতে সাধারণ মানুষের পারাপারে হিড়িক। এ যেন এক অলেম্পিক প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়ার কোন একটি দৃশ্য।

মাত্র ৩০ সেকেন্ডর মধ্যেই রেললাইন ক্রস করে চলে গেল প্রায় ১০ থেকে ১৫ জনের মত সাধারণ মানুষ। বাদ যায়নি পন্যে বোঝাই করা কভার্ড ভ্যান, পেডেল চালিত রিক্সা, ব্যাটিারী চালিত রিক্সা ও মোটর সাইকেলের মত যানবাহনও। তবে সময়ের আগে যার নিধারিত স্থানে এসে রেলক্রসিংয়ে সিগন্যাল দেয়া বা স্ট্যান্ডটি ফালানোর কথা ছিল দেখা মিলল না তার। তবে গলাচিপা এলাকায় এক ব্যক্তি দাড়িয়ে যানবাহন না আসতে সিগন্যাল দিলেও, সেখানেও ফেলা হয়নি রেল ক্রসিংয়ে ব্যবহৃত স্ট্যান্ডটি।

এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রিক্সায় থাকা একজন যাত্রী ক্ষোভের সঙ্গে জানান, রেল কর্তৃপক্ষ সিগন্যালে লোক নিয়োগের বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিৎ। তাহলে এ সমাধানের পথ দেখা যেতে পারে। কারণ নারায়ণগঞ্জে এখন যারা কাজ করছেন তাদের আচরণে মনে হয় বড় কোন দূর্ঘটনার অপেক্ষায় রয়েছে তারা। দূর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটলে মনে হয় তাদেরকে পুরস্কিত করা হবে!

এদিকে ইসদাইর এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা পথচারী বলেন, আমরা এ পথে নিয়মিত চলাচল করি। ছুটির দিন হওয়ায় আজ তো ট্রেনও কম আসা যাওয়া করছে, চলাচলে মানুষ নেই বললেই চলে। এখানে বেশীরভাগ সময়ই সিগন্যাল স্ট্যান্ড ফেলতেই দেখি না। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাষাঢ়া রেল স্টেশন মাস্টার অফিসে গেলে প্রথমে কাউকে দেখা যায়নি। প্রতিবেদক কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ইব্রাহিম নামে একজন ব্যক্তি দৌড়ে আসেন এবং এখানকার ইনচার্জ বলে পরিচয় দেন। প্রতিবেদক রেলক্রসিংয়ে লাইনম্যানদের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, এসব প্রশ্ন কমলাপুরে গিয়ে করতে হবে। কতটা উদাসিন হলে এধরনের বক্তব্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মুখে শুনা যেতে পারে।

কিছুক্ষণ পরই প্রতিবেদককে একজনের পরিচয় দিয়ে বলা হয়, চিনেন উনি আমার ভাই। আর সবাই ঠিক মতোই কাজ করছে। অথচ এ ঘটনার সংরক্ষিত সল্প ভিডিও রেকর্ডই বলে দেয় কারা ঠিক মত কাজ করছিল। যেখানে স্টেশন মাস্টার অফিসে দায়িত্ববানরা বাহিরেই সময় কাটায়। সেখানে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন থাকতেই পারে, তারা কী পালন করছে দায়িত্ব।

add-content

আরও খবর

পঠিত