নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : রূপগঞ্জে মাহিম (১৪) নামে অষ্টম শ্রেণীর মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে এলাকায় ধ্রুমজালের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবী পরকীয়া প্রেমের জেরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে।
পুলিশের বক্তব্য, শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে স্থানীয়রা এ ঘটনায় রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে। শনিবার রাতে উপজেলার কাজিরবাগ এলাকায় এ মৃত্যু হয়েছে। নিহত মাহিম কাজিরবাগ এলাকার পাটকল শ্রমীক মন্নান মিয়ার ছেলে। পরিবারের অভিযোগের ভিক্তিতে পুলিশ হাবিবুর, শাহানাজ ও সাব্বির হোসেনকে আটক করেছে।
নিহতের বোন নাসিমা জানান, গত এক বছর আগে পাশ্ববর্তী রাজমিস্ত্রী হাবিবুর রহমানের স্ত্রী শাহনাজের সঙ্গে মাহিমের বড় ভাই কামাল হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরিবারের দৈন্যতা থাকার কারণে শাহনাজ গোপনে পাশ্ববর্তী আরেক যুবক সাব্বিরের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে। কামালের সঙ্গে সম্পর্কের খবরে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠে সাব্বির। এ ঘটনায় গত আট মাস আগে সাব্বির দলবল নিয়ে কামালের বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর থেকে কামাল এলাকা ছেড়ে চলে যায়।
তিনি আরো জানান, তার ভাইয়ের সঙ্গে শাহনাজের যোগাযোগ করিয়ে দিতো তার ছোট ভাই মাহিম। গতকাল বিকালে মাহিম মোবাইল নিয়ে বের হলে সাব্বিরের সামনে পড়ে। পরে সন্দেহ হলে তাকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে। একপর্যায়ে বেধড়ক পেটায় এবং মাহিমকে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
নিহত শিক্ষার্থীর মা বেবী আক্তার বলেন, আমি রাতে কাজ থেকে ফিরে ঘরের দরজার বাইরে দিয়ে সিকল আটকানো ছিলো। খুলে ভেতরে গিয়ে মাহিমের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। তিনি দাবী করেন, সাব্বির তার ছেলেকে মেরে ফেলেছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হক বলেন, প্রাথমিক ধারণায় বুঝা যাচ্ছে এটা আত্মহত্যা। তবে পরিবারের দাবী হত্যা করা হয়েছে। তাদের অভিযোগের ভিক্তিতেই তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কোর্টে প্রেরণ করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা।