নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( আড়াইহাজার প্রতিনিধি ) : আড়াইহাজারে শাহআলম (৩২) নামে এক গার্মেন্টেকর্মীকে অপহরণের সাতদিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহষ্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দা থেকে অপহৃতাকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সে কুমিল্লা জেলার সদরদক্ষিন থানাধীন লোলবাড়িয়া এলাকার হাফেজ আহম্মেদের ছেলে।
জানা গেছে, একই সঙ্গে দুই জনকে অপরহণ করা হয়েছিল। এদের মধ্যে আরিফ নামে এক যুবক কৌশলে মুক্ত হয়ে তার পরিবারের লোকজনকে মোবাইলে ফোনে অপহরণের বিষয়টি অবহিত করেন। পরে তারা পুলিশের ৯৯৯ ফোন করে।
ঘটনাটি আড়াইহাজার থানার পুলিশকে অবহিত করা হয়। পুলিশ স্থানীয় ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দা থেকে শাহআলমকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় উদ্ধার করে।
শাহ আলম জানান, তাকে ও তার শ্যালককে মদনপুর এলাকায় থেকে ১০ জানুয়ারি রাতে অপহরণ করা হয়। পরে তাদের চোখ ও মুখ বেধে একটি মাইক্রেবাসে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
তাদের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তপণের দাবী করা হয়। সাতদিন ধরে দফায় দফায় তাদের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরতা চালানো হয়। এক পর্যায়ে কৌশলে আরিফ মুক্ত হয়ে পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানায়।
এদিকে আড়াইহাজার থানার এসআই রফিউদ্দৌলা জানান, অপহরণকারীরা বিভিন্ন সময় একাধিক মোবাইল নাম্বার থেকে শাহআলম ও তার শ্যালক আরিফের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। পরে তারা ৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন।
এসআই আরো জানান, মোবাইল কলের সূত্র ধরে ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দা থেকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। অপহৃতারা নারায়ণগঞ্জের ইপিজেটের শ্রমিক বলে জানা গেছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, অপহৃতাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। কারা অপরহণের সাথে জড়িত রয়েছে পুলিশ তাদের খোঁজে বের করার চেষ্টা করছে।