নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ২৩ দলীয় ঐক্যজোটের মনোনীত প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই আমাদের কর্মীদের উপর বিচ্ছিন্নভাবে হামলা হচ্ছে। সরকার দলের সমর্থকরা ক্যাম্পে ভাংচূড় করছে। কর্মীদের নির্মমভাবে পেটাচ্ছে। পোষ্টার লাগাতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। এভাবে হামলা করে আমাদের দমানো যাবে না।
আপনারা যদি এতোই উন্নয়ন করে থাকেন, এতোই সমর্থন থেকে থাকে, তাহলে নগ্ন হামলা করছেন কেন? সৎ সাহস থেকে থাকলে হামলা-মামলা নয়, নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনী ময়দানে আসুন। দেখি কে জয় পায়। হামলা-মামলা করে আমার কর্মীদের মনোবল ভাঙ্গানো যাবে না। যতো হামলা আসবে, আমরা ততো শক্তিশালী হবো। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত। ধানের শীষের সাথে নৌকা এ আসনে বিপুল ভোটে হারবে। সেটা আন্দাজ করতে পেরেই আমার প্রতিপক্ষ হামলা-ভাংচূড়ের পন্থা অবলম্বন করেছেন। বুধবার ( ১৯ ডিসেম্বর) হামলায় আহত নিজ দলের কর্মীদের দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মনির হোসাইন কাসেমী অভিযোগ করে বলেন, অন্যান্য নির্বাচনী এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের অবস্থা খুব ভালো ছিল। আমি প্রশাসনকে এ জন্য ধন্যবাদও দিয়েছিলাম। শান্ত পরিবেশটা হঠাৎ করেই উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছেন আমার প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকরা। নির্বাচনে পোষ্টার-ব্যানার লাগানো কিংবা ক্যাম্পে বসে নির্বাচনী কর্মকান্ড পরিচালানা করা একটা স্বাভাবিক পক্রিয়া। অথচ এ কাজটি করতে পারছেন না আমার কর্মীরা। তাদেরকে পদে পদে হামলা-মামলার শিকার হতে হচ্ছে। বাঁধা দেয়া হচ্ছে পোষ্টার লাগাতে। ক্যাম্পে বসে নির্বাচনী কাজ করতে পারছে না। শুধু সরকার দলের ক্যাডাররা না, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাও আমার কর্মীদের আটকর করে ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। আমতলা এলাকাতে গত কয়েকদিন আগে পোষ্টার লাগানো অবস্থায় সিদ্দিকুর রহমান নামের এক কর্মীদের ফতুল্লা থানা পুলিশ আটক করে। পরে এলাকাবাসীর চাপে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের প্রতি আমার আহ্বান, আপনারা নিজেদের কাজটা সূচারুরুপে পালন করুন। সবাইকে সমানভাবে কাজ করার সুযোগ দিন। আপনাদের সম্পর্কে আমাদের পজিটিভ একটা ধারনা আছে। আশাকরি সেটা ধরে রাখবেন।
উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহে ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষ সমর্থকদের উপর বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালানোর অভিযোগ করেন কাশেমী সমর্থকরা।
তারা দাবি করে বলেন, সরকার দলের ক্যাডাররা এসব হামলা করেছে বলে জানিয়েছে আহতরা। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে কাশীপুর বাংলাবাজার এলাকায় ধানের শীষের ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এবং নির্বাচনী ক্যাম্পে তালা ঝুলিয়ে দেয় ক্যাডাররা। এরআগে, মাসদাইরে কাউছার নামের এক কর্মীর উপর নগ্ন হামলা চালায় সরকার দলের সমর্থকরা। নবীনগর ও আমতলা এলাকাতেও ধানের শীষের কর্মীদের বাধা প্রদান করা হয় পোষ্টার ও ব্যানার লাগাতে।