প্রতিশ্রুতির ১ কোটি ৬ লাখ টাকা অনুদান দিলেন সেলিম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : শহর ও বন্দরে ধর্মীয় ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১ কোটি ৬ লাখ টাকার আর্থিক অনুদান দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।  বিভিন্ন সময় ওই সকল প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রতিষ্ঠান গুলোর উন্নয়নের জন্য আর্থিক অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন তিনি। প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তিনি বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ওই সকল প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়।

অনুদান দেওয়া প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে মদনপুর ইউনিয়নের বাগদোবাড়িয়া এলাকায় নাগিনা জোহা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪র্থ তলা ছাদ ঢালাইয়ের জন্য ১৫লাখ টাকা, পশ্চিম কেওঢালা হাজী বাড়ি জামে মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য  ১৫ লাখ টাকা, বন্দরে ইউনিয়নে মীরকুন্ডি উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ২০লাখ টাকা, সোনাকান্দা উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুলে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা সহ উন্নয়নের জন্য ১০লাখ টাকা এবং সোনাকান্দা বড় মজসিদের উন্নয়নে ১৫লাখ টাকা এবং শহরে বাইতুস শরীফ জামে মসজিদের উন্নয়নে ২৫ লাখ টাকা, বন্দর নূরানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য ৬ লাখ টাকার চেক প্রতিষ্ঠান গুলোর পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দের হাতে তুলে দিয়েছেন এমপি সেলিম ওসমান।

এর মধ্যে মীরকুন্ডি উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য মোট ৫০ লাখ টাকার অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি যার মধ্যে প্রথম ধাপে ২০ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ৩০ লাখ টাকা প্রদান করা হবে।

উক্ত চেক বিতরণ কালে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় এমপি সেলিম ওসমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা মনযোগ দিয়ে লেখাপড়া করবে। সবাইকে জিপিএ-৫ পেতে হবে এমন কথা নেই। যতটুকুই পড়বে সেটা মনযোগ দিয়ে পড়বে, জ্ঞানার্জনের জন্য শিখবে। তোমরা রাতে ফেসবুক ব্যবহার করবে না। তাহলে দেখবে পড়ালেখায় আরো বেশি মনযোগী হতে পাড়বে। পরীক্ষাও ভাল হবে।

তিনি আরো বলেন, এই সহযোগীতা ভোটের জন্য। বিভিন্ন সময় আমি আপনাদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলাম। বিভিন্ন কারনে কালক্ষেপন হয়েছে। আমি আপনাদের দাবীর প্রেক্ষিতে আবারো নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে গেলে প্রার্থীরা কোন প্রকার অনুদান দিতে পারবেন না। তাই তফসিল ঘোষণার পূর্বে আপনাদের কাছে দেওয়ার আমার প্রতিশ্রুতি সম্পন্ন করলাম। আগামীতে আমি যদি এমপি নাও থাকি তবুও আমি আপনাদের পাশে থাকবো। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সুন্দর একটি ভবিষ্যত গড়তে কাজ করে যাবো। আপনারা আমাকে দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আমাকে হায়াত দেন। আর যদি আমি মারা যাই তাহলে আপনারা একজন ভাল ব্যক্তি নির্বাচিত করবেন। আমরা নিজের জন্য হাসতে চাই না, নিজের জন্য কাদঁতে চাই না। আমরা অপরের সুখে হাসতে চাই, অপরের দু:খে কাদঁতে চাই। পারস্পারিক সহযোগীতার মাধ্যমে একে অপরের পাশে দাড়াঁতে চাই। বন্দরের প্রতিটি পরিবারকে স্বাবলম্বী হয়ে স্বনির্ভর দেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যেতে চাই।

উক্ত চেক বিতরন অনুষ্ঠান গুলোতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ, বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, উৎসব পরিবহনের চেয়ারম্যান শহীদুল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সামিউল্লাহ মিলন, সিটি কর্পোরেশনের ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল, সিটি কর্পোরেশনের ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ, মদনপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক গোলাপ হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবে সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম.এ সালাম, ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ, বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা।

add-content

আরও খবর

পঠিত