সোনারাগাঁও থানার ওসিসহ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতার মামলা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারাগাঁ সংবাদ দাতা ) : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম ও এস.আই ( সাব-ইন্সপেক্টার ) সাধন বসাকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (ঘ) অঞ্চলে এ মামলা করেন যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম স্বপন।

১১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার আদালতে জাহিদুল ইসলাম স্বপনের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহা, সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. সামসুল ইসলাম ভূইয়া,  অ্যাড. আনোয়ার হোসেন, অ্যাড. জসিম উদ্দিন, অ্যাড. সাব্বির হোসেন সাগর, অ্যাড. আহসান উল্লাহ সজিব, অ্যাড. মুহাম্মদ মনির হোসেন ও মোহাম্মদ দুলাল হোসেন।

আদালত সূত্র জানা যায়, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্ত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ সুপার, নারায়ণগঞ্জকে তদন্তের এ নির্দেশ দেন। তবে আদালত তার আদেশে অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুতর এবং ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত হওয়া প্রয়োজন মর্মে ৬টি বিষয়ে সুস্পষ্ট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে রয়েল রিসোর্টে সানিফয়েলস এন্ড পলিমার ইন্ডাষ্ট্রিজের মালিক আল-মোস্তফার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নগদ উৎকোচ গ্রহণ করে আল-মোস্তফার লাঠিয়াল চরিত্রে অবতির্ণ হয়ে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদ আলমের নির্দেশে এস.আই (সাব-ইন্সপেক্টার) ও সেকেন্ড অফিসার সাধন বসাক তার ফোর্স নিয়ে ৭ অক্টোবর দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম স্বপন, তার ভায়রা আলমগীর ও ভাগিনা বাবুলকে বিনা অভিযোগ ও গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই আটক করে। পরে সারারাত ধরে চোঁখ বেঁধে লাঠি দিয়ে মধ্যযুগিয় কায়দায় নারায়ণগঞ্জ ৩ আসনের সাবেক এমপি কায়সার হাসনাতের এপিএস ও যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম স্বপনকে বেধরক  মারধর করে অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম ও এসআই সাধন বসাক। তাদের নির্যাতনে এক পর্যায় জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ও অবস্থা সংকটাপন্ন হলে রাত ৩.৪০ মিনিটের দিকে সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় (হাসপাতাল রেজিস্ট্রারে ভর্তি নং ২৬৪৯/৩)।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর মেডিকেল অফিসার হ্যাপী দাস জাহিদুল ইসলাম স্বপনের প্রাথমিক চিকিৎসা করে হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে পুলিশের নাম ও স্বপনকে শারিরীক নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেন। এমনকি জাহিদুল ইসলাম স্বপনের বিরুদ্ধে সারা দেশে একশ বিভিন্ন মামলা দেখানোর পরে তাকে ক্রসফায়ারের মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সেকেন্ড অফিসার সাধন বসাক। পরে সোনারগাঁ থানা যুবলীগ নেতাদের মধ্যস্থতায় ৮ অক্টোবর দুপুরে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।

 এদিকে, সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়া বৃহস্পতিবার যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম স্বপনের সকল আইনি সহায়তার দায়িত্ব নেন।

এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলমের মোবাইলে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

add-content

আরও খবর

পঠিত