নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদ দাতা ) : কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি আলহাজ্ব শুক্কুর মাহমুদ বলেছেন, পবিত্র কদম রসুলের মাটিতে দাড়িয়ে শ্রমিকলীগের আজকের এ অনুষ্ঠানে এসে আমি আয়োজকদের সাধুবাদ জানাই এত সুন্দর একটি পরিসরে অনুষ্ঠান করায়। ১৯৬৯ সালের ১২ অক্টোবর শ্রমিকললীগের সূচনা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া এ সংগঠন। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিল। জিয়াউর রহমান আইন করেছিল হত্যা করা যাবে বিচার পাবে না। যুদ্ধপরাধী, জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করে খালেদা জিয়া দেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল। ৪৬৪টি উপজেলায় বোমা মেরেছিল খালেদা জিয়া।
আদমজী জুট মিল বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ লোক বেকার করেছেন খালেদা জিয়া। ২০০২ সালে খালেদা জিয়া জুট মিল বিক্রি করে শ্রমজীবী মানুষকে পঙ্গু করে দিয়েছে। তার সকল অশুভ চক্রান্ত আজ ভেস্তে গেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ক্রমান্ধয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। শীতলক্ষ্যার দু-পাশে ওয়াকওয়ে হয়েছে। বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতাসহ নানা উন্নয়ণ হচ্ছে এ সরকারের আমলে। খুব শীঘ্রই আমাদের দেশ যে উন্নয়ণশীল রাষ্ট্রের সমমান হচ্ছে এতে কোন সন্দেহ নাই। শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী।
নারায়ণগঞ্জবাসী সব সময় শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করেছে। জাতীয় শ্রমিকলীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকালে নবীগঞ্জ কদমরসুল কলেজ সন্মূখে নারায়ণগঞ্জ জেলা, মহানগর ও সকল থানার উদ্যোগে প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মহাজোট সরকারের সময় আমাকে নমিনেশন দিয়েছিল। নেত্রীর নির্দেশে আমি নির্বাচন করিনি। এরশাদের সাথে আপোষ নয়। এরশাদের কথার কোন দাম নেই। সকালে বলে এক কথা আর বিকালে বলে অন্য কথা। জাতীয় স্বার্থে ঐক্য করুন তবে নারায়নগঞ্জের কোন আসন বিসর্জন দিয়ে ঐক্য নয়। আমরা নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই নৌকা চাই। নারায়ণগঞ্জের মানুষ আর কাধে ভর করে থাকতে চায় না। রাজধানী ঢাকার প্রয়োজনে দ্রুত নারায়নগঞ্জের মানুষ ঐক্য হয়ে যাবে। তবে আর কতদিন নৌকা অবহেলিত থাকবে।
মহানগর শ্রমিকলীগের সভাপতি কাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ বাবুল, সহ-সভাপতি কামাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মোস্তফা মাষ্টার, যুগ্ম সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সিরাজুল হক, স্বপন রেজা, মহানগর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মুন্না, সহ-সভাপতি আলী হোসেন, মহিলা শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক সুমি, যুব শ্রমিকলীগের সভাপতি আরিফ, বন্দর উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক, সাধারন সম্পাদক রাফিয়ান আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন, সোনারগা শ্রমিকলীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমান, রুপগঞ্জ উজেলা শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা, মহানগর ও সকল থানার শ্রমিকলীগের নেতৃবৃন্দ।