নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জে শিক্ষার্থীদের অন্দোলনের মূল বিষয় ছিলো নো লাইসেন্স নো রান। এ স্লোগানটি যেমন মুখরিত ছিলো, দেখা গেছে প্ল্যার্কাডে, কর্মেও এর ব্যতিক্রম নয়। যাদের লাইসেন্স নাই তাদের গাড়িগুলো আটকে রেখে দেওয়া হয়েছে ২শ এর মত চাবি। এর মধ্যে পুলিশ সহ সাংবাদিকদের গাড়িও থামিয়ে রাখা হয়েছিলো, লাইসেন্স দেখিয়ে যেতে হয়েছে তাদের। অবরুদ্ধের কবলে পড়েছিল এমপি পঙ্কজ দেবনাথ ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও।
দেখা গেছে, সকাল ১১টায় চাষাঢ়া শান্তনা মার্কেটের নিচে জেলা পরিষদের সরকারী গাড়ীটি আন্দোলনকারীদের কবলে পড়ে। তখন গাড়ীর ভিতরে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন ছিলেন। লাইসেন্স না দেখানো পর্যন্ত অবরুদ্ধ থাকে। পরে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখালে আন্দোলনকারীরা ছেড়ে দেয়।
এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় চাষাঢ়া মাধবী প্লাজা সামনে স্বেচ্ছা সেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল-৪ আসনের এমপি পঙ্কজ দেবনাথ বহনকারী পাজারো গাড়ী অতিক্রমকালে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কবলে পড়ে। এ সময় তার ড্রাইভার লাইসেন্স দেখানো ফলে তাদের ছেড়ে দেয়। পরে বিজয়স্তম্ভের সামনে আসলে আবারো গাড়ীটি আটকালে গাড়ী থেকেই নেমে যান এমপি পঙ্কজ দেবনাথ। এবং তাদরে সাথে হাসিমুখে বিদায় নেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, লাইসেন্স ছাড়া সড়কে গাড়ি চালানো যাবে না, সে যেই হোক। আমরা দুইশত গাড়ির চালকদের কাছ থেকে গাড়ির চাবি নিয়েছি। যেন তারা কাগজ দেখিযে অথবা ট্রাফিক পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার পরই যেতে পারবে। আমরা চাই সবজায়গায় আমরা নিরাপদে সড়কে চলাচল করতে পারি। আমাদের যে ৯ দফা দাবী আছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।
এদিকে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে দ্বিতীয় দিনের মত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও অবরোধে স্থবির হয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জ। ২রা আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ড্রেস ও আইডি কার্ড পরিধান করে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে। তাদের সাথে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এসেও যুক্ত হয়েছেন। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও। এসময় শিক্ষার্থীরা এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ও সরকারী গাড়ি চলাচলে সহযোগীতা করেছে। এসময় বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।