সেপটিক টাংকিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর টুকরো করা লাশ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪  ( নিজস্ব সংবাদ দাতা ) : নারায়ণগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষের নিখোঁজের ২২ দিনের মাথায় বস্তায় ভর্তি টুকরো করা লাশ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় আমলাপাড়া এলাকার রাশেদুল ইসলাম ওরফে ঠান্ডু মিয়ার বাড়ির সেপটিক টাংকিতে ব্যবসায়ীর লাশটি পাওয়া যায়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ৩টি সিমেন্টের বস্তায় প্রবীর ঘোষের ৫ টুকরো খন্ডিত লাশ উদ্ধার করে জেলা পুলিশ।  তবে উদ্ধার হয়নি দুই পায়ের হাটুর নিচের অংশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুন রাত সাড়ে ৯টায় নগরীর বালুর মাঠের বাসা থেকে কালিরবাজার এসে নিখোঁজ হন স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ। নিখোঁজের ঘটনায় ১৯ জুন প্রবীরে বাবা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর প্রবীর ঘোষকে উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ।

প্রবীর ঘোষের সন্ধানকালে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইলটি কুমিল্লার সীমান্ত এলাকায় ব্যবহার হওয়ার খোঁজ পায় পুলিশ। মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করতে গিয়ে এর বাহক বাপন ভৌমিককে গ্রেফতার করে। বাপন ভৌমিক পুলিশকে জানায় পিন্টু তাকে এ মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করতে দিয়েছে। পুলিশ বাপনকে গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসে। এরপর গ্রেফতার করা হয় প্রবীরের বন্ধু পিন্টু দেবনাথকে।

ঘটনাস্থলে আসা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দিন জানায়, প্রবীর ঘোষের নিখোঁজের পর তাঁর বাবা ভোলানাথ ঘোষ সদর মডেল থানায় জিডি করেন। এরই সূত্র ধরে প্রযুক্তির ব্যবহারে বাপন ও পিন্টু নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাঁদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে পিন্টু প্রবীর ঘোষের কথা স্বীকার করে। পরে তাঁর দেখানো মতেই ঠান্ডু মিয়ার বাড়ির সেপটিক টাংকি থেকে প্রবীর ঘোষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে প্রবীর ঘোষের লাশের খবরে আমলাপাড়ার ১৫ কেসি নাগ রোড এলাকায় হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারন ঘটে। একে একে আসতে থাকেন প্রবীর ঘোষের পরিবারের লোকজন, আত্মীয় স্বজন ও ব্যবসায়ী বন্ধুরা। বিলাপের সঙ্গে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন তার এক আত্মীয়া।

এই ঘটনার পেছনে আরো জড়িত আছে দাবি করে কালীবাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ী মার্কেটের সভাপতি শংকর ঘোষ বলেন, এই হত্যার পেছনে আরো আছে। ওদের দুইজনের ধারা এগুলো সম্ভবপর নয়। আমরা চাই, হত্যার রহস্য উন্মোচন করে হত্যাকারী এবং হত্যার পরিকল্পনাকারী সকলকে ফাসিঁ দেয়া হোক।

add-content

আরও খবর

পঠিত