নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শ্যালক রিফাত হত্যাকান্ডের ঘটনায় দুলাভাই মহিউদ্দিন হাসনাত ও তাঁর সহযোগি সাইফুলকে দোষী সাব্যস্ত করে দুইজনকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ২রা জুলাই সোমবার নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত (বিশেষ ট্রাইবুনাল-২) এর বিচারক মোহাম্মদ রবিউল আউয়াল এ রায় ঘোষণা করেন। রায় প্রদানকালে আসামী মহিউদ্দিন হাসনাত আদালতের কাঠগাড়ার উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামী সাইফুল জামিনের পর বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
রায়ের সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নিহতের বাবা তোফাজ্জেল হোসেন জানান, ৬ বছর আগে ছেলেকে এরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে, বিচার দেরিতে হলেও মৃত্যুদন্ডের এই রায়ে আমি ও আমার পরিবার সন্তুষ্ট। এখন রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ফজলুল রহমান মৃত্যুদন্ডের আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এ রায় দিয়েছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট জিল্লুর রহমান মুকুল জানান, এ রায় একটি যুগান্তকারী রায়। এ রায়ের মধ্য দিয়ে একটি শোকাহত পরিবার কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে পেয়েছে।
আসামী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট বারী ভূইয়া বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তষ্ট না। আমরা এ রায়ের প্রতিবাদে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আশা করি ন্যায় বিচার পাব।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১০ আগষ্ট মহিউদ্দিন ও তাঁর সহযোগি ঢাকা থেকে অপহরণ করে এনে সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জের নাভানা টাওয়ারে এনে গলা কেটে হত্যা করে লাশ ফেলে যায়। পরে লাশটি অজ্ঞাত হিসেবে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জের এসআই জামাল হোসেন বাদি হয়ে আজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এরপরই মামলার তদন্তকালে রিফাতের দুলাভাই মহিউদ্দিন হাসনাত ও তাঁর সহযোগি সাইফুল আটক হয়। এবং এ হত্যার দায় স্বীকার করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনোয়ারা বেগমের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।
জবানবন্দিতে দুলাভাই মহিউদ্দিন হাসনাত জানিয়েছিলেন, তাঁর শাশুড়ি তাঁকে ঝাড়– পেটা করায় এর প্রতিশোধ নিতে ভাড়াটে খুনি সাইফুল গংদের সহযোগিতায় ৩০ হাজার টাকা চুক্তিতে রিফাত (১২) কে অপহরণ করে হত্যা করে।