নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে ময়লার গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে নাসিক কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে নাসিকের ৪টি বর্জ্য পরিবহনের গাড়ি দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তবে গাড়িগুলোতে কোনো চালক নেই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাসিকের প্রধান নির্বাহী এ এফ এম এহতেশামূল হক বলেন, আমি ঢাকায় চলে এসেছি। আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না।
নাসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আলমগীর হিরণ জানান, গত ৫ দিন যাবৎ বর্জ্য সংগ্রাহকরা গৃহস্থলী বর্জ্য সংগ্রহ বন্ধ করে রেখেছে। তারা ময়লা ফেলার জায়গা পাচ্ছে না বিধায় তারা ময়লা সংগ্রহ বন্ধ করে রেখেছে। বর্তমানে নাসিক এলাকায় সমস্যাটি অবর্ণনীয় হয়ে দাড়িয়েছে। আমরা সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ডাম্পিং পয়েন্ট না থাকায় এবং ময়লা ফেলার কোন জায়গা না পাওয়ায় জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়াকে জানালে তিনি বলেছিলেন, যেখানে খাস জমির জায়গা পাওয়া গেলে সেখানে ময়লা ফেলা যেতে পারে। সেই কথার উপর ভিত্তি করে গতকাল থেকে আমরা কাশিপুরে ৩৬ একর সরকারী খাস জমিতে ময়লা ফেলা শুরু করি।
কিন্তু সেখানে কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ বাদলের লোকজন এসে আমাদের ময়লা ফেলতে বাঁধা দেন। উনারা রীতিমত উগ্র ব্যবহার করে। তারপরে আমরা চলে আসি। এখন ময়লা ফেলতে না পেরে আমরা বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে ময়লার গাড়ি রেখেছি।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক আমাদের জায়গা দেখিয়ে দিয়েছেন। সে কথার ভিত্তিতে আমরা সেখানে গেলাম। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর আমাদের সাইফুল্লাহ বাদলের লোকজন অনেক অপমান অপদস্ত করেছেন। এখন আমরা ডিসি সাহেবের বাসভবনের সামনে ময়লার গাড়ি রেখেছি। এর সুরাহা আমরা কিছুই জানি না। আমাদের ময়লা ফেলার জায়গা দিতে হবে। ৫লাখ শহরবাসীর বাসাবাড়ি থেকে আমরা প্রতিদিন ৪০০টন ময়লা সংগ্রহ করি। ময়লা ফেলতে না পারায় নগরবাসীর ভয়ানক সমস্যা ভোগাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় বিভিন্ন জায়গায় জায়গা বরাদ্দ দিচ্ছেন। আমাদের জন্য একটি জায়গা বরাদ্দ দিলেই তো উনি পারেন। জালকুড়িতে আমাদের জমিতে ৩৩৭ কোটি টাকার প্রজেক্টে কাজ প্রক্রিয়াধীন। এটা একটু সময় লাগবে। এরপরে তো আর কোন সমস্যা হবে না। ময়লা ফেলার জায়গা না পেলে আমরা ডিসি সাহেবের বাসভবনের সামনে ময়লা ড্রাম করে রেখে দেবো।