নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদদাতা ) : বিগত প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরেই ত্রিবেনী ব্রীজটি পুন:নির্মাণ কাজ চলছেতো চলছেই। ব্রীজটির এপার- ওপাড় যোগাযোগের এটাই একমাত্র রাস্তা। বন্দরঘাট নামে খ্যাত ঘাটে গিয়ে সবার নদী পারাপার হতে হয় যেতে হয় যার যার কাজকর্মে ব্যবসা বাণিজ্যে। ব্রীজটি নির্মাণকালিন সময়ে বাইপাস রোড হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে নোয়াদ্দা খালের সংকীর্ণ রাস্তাটি। কিন্তু এপার-ওপার সংযোজন করা খালের রাস্তাটুকুতে কয়েকদিন পরপর ঘটছে দুর্ঘটনা।
গাড়ি আসা-যাওয়ার সময় ধীরগতিতে দুলে দুলে চলতে হয় খালে পড়ে যাওয়ার আতঙ্কে। ব্রীজটির কাছাকাছিই বাস করেন বড়বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি প্রত্যাশিত কাউন্সিলরগণ, বিরোধী দলের নেতাকর্মীসহ অধিকাংশ হোমরা চোমরাগণ। তাদেরও এ রাস্তা দিয়েই চলাচল ও নির্বাচনী প্রচারণা।
এ এলাকারই একজন ভুক্তভোগি মো. পারভেজ রহমান বলেন, প্রতিদিন অটো গাড়িতে করে ওই রাস্তা দিয়েই নদীর ওপার যেতে হয় ব্যবসার কারণে, বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যেতে হয় বন্দর। আক্ষেপ করে বলেন, জনসেবা করতে বিএসটিআই এর অনুমোদন লাগেনা। সবাই দেখছেন ভূগছেন কিছু করছেননা। ভোট বা নির্বাচন এলে আমাদের বোঝাতে চান জনপ্রতিনিধি হলে তথা পাস করলে তারা পাবলিকের সুবিধার্থে জীবন দিয়ে দিবেন। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনাদের জীবন বিসর্জন দেয়ার কোনই দরকার নাই। আপনারা জনসাধারনের মনের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন। আক্ষেপ করে তিনি আরো বলেন, কাঙ্গালদের খিচুরী দেয়ার ছবি ও সংবাদ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা হলেও এই বিষয়টি নিয়ে কোন সাংবাদিক এগিয়ে আসছেননা।
আপনিও একজন স্থানীয় অধিবাসী ও সচেতন নাগরিক, আপনি এ জন্য কি করেছেন তাকে পাল্টা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা সর্ব সাধারনের কাজ নয়, এলাকায় অনেক কথিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আছেন এবং দুজনের নাম উল্লেখ করে বলেন, তারা সব সময় দাবি করে আসছেন তারা নাকি এই আসনের সাংসদের খুব কাছের লোক। তাদের দাবি সত্য হলে ও প্রকৃত রাজনতিবিদ হলে এত বছরে এটার একটা নিস্পত্তি হওয়ার কথা। আমার মামা মতিউর রহমানকে বলবো যদিও তিনি এ সমস্যার সাথে সংশ্লিষ্ট নয়, যেন সাংসদ সেলিম ওসমানকে ব্যাপারটা অবহিত করেন।
আর সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীরও সুদৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। তার সিটি কর্পোরেশনের অধীনেই ত্রিবেণী ব্রীজ নির্মাণ কাজ চলছে। কাজের গতি আরো বাড়িয়ে দিলে ব্রীজটি দ্রুত নির্মাণ হয়ে যায়। আর ব্রীজ দ্রুত নির্মাণ হলে জন সাধারণের চলাচলে আর কোন সম¯্রাই থাকেনা। না বললেই নয় বেশ কিছুদিন আগে এ রাস্তায় ঝাকুনিতে এক গর্ভবতীর সন্তান প্রসব হওয়ার মতো ঘটনাও ইতোমধ্যে ঘটেছে। সুতরাং এই মুহুর্তে জন সাধারণের জোরালো দাবি, ব্রীজটি দ্রুত নির্মাণ অন্যথায় বাইপাস সড়কটি চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হোক যাতে করে সর্বস্তরের জন সাধারণ নিরাপদভাবে আনাগোনা করতে পারে।