ব্যতিক্রমী উদ্যোক্তা নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ( সৈয়দ সিফাত লিংকন ) : রাজধানীর অদূরে প্রাচ্যের ডান্ডি খ্যাত জেলা নারায়ণগঞ্জ। বিশ্বের দ্বারপ্রান্তে নানা অর্জনে সুনাম অক্ষুন্ন রেখেছে এ জেলাটি। এছাড়াও কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনায় হতে হয়েছে সমালোচিত। তবে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে সকলকে সমন্বিত করে নানা কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া।

এরই ধারাবাহিকতায় ২৪মে বৃহস্পতিবার সকল ভেদাভেদ ও বৈষম্যের উর্ধ্বে জেলা প্রশাসক কার্য্যালয়ের সকল কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের সাথে ইফতার করার উদ্যোগ নেন তিনি। তাই জেলা প্রশাসকের বাস ভবনে ছিলো জমকালো ইফতারের রকমারী খাবারের ব্যপক আয়োজন। এসময় একই টেবিলে পরিবার নিয়ে অফিস স্টাফদের  সাথে ইফতার করায় আনন্দিত সকলেই। সৃষ্টি হয় এক উৎসবমূখর পরিবেশ। ব্যতিক্রমী এ কর্মসূচী পালনের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়ার এমন উদ্যোগকে বাহবা জানিয়েছে অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রীতিমত মন্তব্যের ঝড় উঠেছে।

এ ব্যপারে নারায়ণগঞ্জ কলেজের শিক্ষক ও সফল সংগঠক, সাবলিল উপস্থাপক আরিফ মিহির মন্তব্য করেছেন, আমি বিরানব্বই সাল থেকে জেলা প্রশাসনের সাথে সহযোগিতামূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত। আমার দেখা এই প্রথম একটি অনুষ্ঠান জেনেছি। এটি শুধুই রাব্বী স্যারের পক্ষে সম্ভব। মানুষের সাথে মানুষের ভালবাসার বন্ধনের একটি উদাহরণ স্যার রেখে গেলেন নারায়ণগঞ্জে। আল্লাহ সহায় হোক।

জান্নাত রহমান লিখেছেন, শ্রদ্ধাবান, জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ, আপনি মডেল   প্রশাসনের বৈষম্য মুক্ত করার পথ পথিক হিসাবে।

আক্কাস আলী নামে একজন কৃতজ্ঞ প্রকাশ করে বলেন, স্যার, এই মায়ের মমতা এবং বাবার মত সকল সন্তানের নিয়ে একত্রে ইফতার করা এই প্রথম জেলা প্রশাসকের বাংলোতে হয়েছে। আপনি যে বার বার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সকল অফিসারদেরকে বলে থাকেন। যাদের নিয়ে কাজ অফিসে কাজ কর, তাদেরকে ভালবাসবা, তোমারা চলে গেলে তারাই আজীবন তোমাদেরক স্মারন করবে এবং তোমাদেরকে ভালবাসবে। এটাই তার প্রমাণ। স্যার, আপনি অনেক বড় হবেন, বড় পদে আসীন হন এই দোয়া করি। আপনি/আপনার ফ্যামিলী/আত্মীয় স্বজন সবাই ভাল থাকুক এই দোয়া করি। আমিন।

প্রদিপ কুমার দাস লিখেছেন, স্যার মহান উদ্যোগ। আমার জানামতে নারায়নগঞ্জে এটা প্রথম বারের মতো আয়োজন। মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট আপনার সাফল্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

আক্তার উননিসা শিউলি লিখেছেন, অসাধারণ আয়োজন স্যার।

জহির উদ্দিন মো. বাবর লিখেছেন, আমাদের  ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সূর্য সন্তান রাব্বি মিয়া ভাই ডিসি নারায়ণগঞ্জ, আপনার মতো মেধা ও মননশীলতায় পরিপূর্ণ একজন গুণীজন কে নিয়ে আমরা ব্রাক্ষণবাড়িয়াবাসি গর্ব করি। আপনার জন্য নিরন্তর শুভ কামনা রইলো।

সোহেল পারভেজ লিখেছেন, খুব ভালো লাগলো যে সবাই আপনার পরিবারে সদস্য সরূপ।

সৈয়দ লিংকন লিখেছেন, আসলে সুশিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ যেখানে যায় শুধু আলো ছড়ায় এটাই তাঁর প্রমাণ। তাছাড়া তিনি বিভিন্ন দেশে যে প্রশিক্ষন নিয়েছে এগুলো তারঁই বাস্তবায়ন হচ্ছে। কারণ আমার জানা মতে একজন সুশিক্ষিত মানুষ যত উচ্চ পদদারী হতে থাকে সে ততই বিনয়ী ও জ্ঞান আহরণকারী হয়। উনি তার ব্যতিক্রম নয়। পড়াশুনা করে ফলাফল হয়তো অনেকেই ভালো করে কিন্তু বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে নেয়াটা ভিন্ন বিষয়। সবাই পারেনা। শুধু মুখস্থ বিদ্যায় থেকে যায়! হুয়াট ইজ রিলেশনশিপ? হাউ টু বিল্ডআপ রিলেশনশিপ উয়িথ অফিস স্টাফ, কাস্টমারস অলসো হিউম্যান বিং ইটিসি। হুয়াট ইজ অরগানাইজেশন বিহেভিয়র?

এই উত্তরগুলি জানা পর্যন্তই রয়ে যায়।কিন্তু আমাদের নারায়ণগঞ্জ প্রশাসক মহোদয় রাব্বি মিয়া দেখাচ্ছেন। আর এজন্য আমি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে, যিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ধন্যবাদ ও সালাম জানাই ডিসি মহোদয়ের শ্রদ্ধেয় পিতা মাতাকে। এভাবেই যেন প্রতিটি জেলা উপজেলা এমন দক্ষ মানুষ কাজ করে যায় প্রতিটি দপ্তরে। তাহলে বাংলাদেশ আরো এগুতে বেশী দূর নয়। সকল গুনিদের মন্তব্যের মাঝে আরো একজন বৃহত্তর গুনি ব্যক্তিকে নিয়ে আমার এই মন্তব্যটা সকলেই ইতিবাচবভাবে গ্রহণ করবেন বলে আমি আশাবাদি।

তবে এটাই তাঁর প্রথম উদ্যোগ নয়, পজেটিভ নারায়ণগঞ্জ বিনির্মাণে তিনি চলছেন র্দূবার গতিতে। সপ্ন দেখেন নারায়ণগঞ্জ শুধু প্রাচ্যের ডান্ডিতেই সিমাবদ্ধ থাকবেনা, পরিচিতি লাভ করবে (এ) ক্যাটাগরীর জেলা হিসেবেও। আর এ সপ্ন বাস্তবায়নে ইতোমধ্যেই নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে গড়ে তোলেছেন গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি। যা পুরো বিশ্বের কাছে একটা মাইলফলক হয়ে গেছে।

যেখানে কারাবন্দীরা এখন শুধু বন্দী জীবনই কাটাচ্ছেন না।  কর্মের মাধ্যমে নিজেদের উপার্জন করা অর্থ দিয়ে পরিবারকে সহযোগীতাও করছে। এতে করে একজন অপরাধী নিজেকে সকল অপরাধের ছায়া থেকে গুছিয়ে নিতে পারছে। তেমনি আগামী দিনের সুন্দর ভবিষ্যত ও দেশের উন্নয়নের সহযোদ্ধা হতে পারছে। পরিবারের কাছেও এখন আর বোঝা নয় কারাবন্দীরা।

এছাড়াও এই জেলার উন্নয়নের লক্ষে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। জেলা প্রশাসকের কার্য্যালয়ের সকল কর্মকর্তাদের দিচ্ছেন সঠিক দিক নির্দেশনা। উন্নয়ন পরিকল্পনায় রয়েছে একাধিক প্রকল্প যা চলমান। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহর্তীথস্থান লাঙ্গলবন্দকে র্পযটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড, অত্যাধুনিক মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সহ সুন্দর নগরী গড়ার চেতনা বিদ্যমান।

add-content

আরও খবর

পঠিত