নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (বন্দর প্রতিনিধি) : বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব আবেদ হোসেন লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় বন্দর থানায় একটি মামলা হয়েছে। শনিবার সকালে আবেদ হোসেন বাদী হয়ে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। জানা গেছে,শুক্রবার সন্ধায় থানার সোনাকান্দা নোয়াদ্দা এলাকার মৃত ইউনূছ বেপারীর ছেলে আ.লীগ নেতা আলহাজ্ব আবেদ হোসেন তার নিজ কর্মস্থল থেকে সোনাকান্দা কড়ইতলা এলাকায় ব্যাক্তিগত কাজে আসলে পূর্ব শত্রুতাবসত একই এলাকার আলাউদ্দিন ওরফে আলাজউদ্দিনের ছেলে ও মহানগর জাতীয় পাটির আহবায়ক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানুর ছোট ভাই মাদকসেবী ফকিরউল্লাহ ফকির আচমকা তাকে দেখেই অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। আবেদ হোসেন প্রতিবাদ করলে মাদকসেবী ফকিরউল্লাহ অচেতন অবস্থায় পাশ্ববর্তী বাড়ি হতে ধারালো বটি নিয়ে তাকে আঘাত করতে চেষ্টা চালায়। যা এক পর্যায়ে ধস্তা-ধস্তিতে পরিনিত হয়। এ সময় আবেদ হোসেনের ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে ফকিরুল্লাহ তাকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদর্শণ করে সটকে পড়ে।
এ ব্যাপারে শনিবার আবেদ হোসেন থানায় অভিযোগ করলে বন্দর থানা অফিসার ইনচার্জ শাহীন মন্ডল সম্মানিত ব্যাক্তিকে লাঞ্চিত করার অপরাধে ফকিরুল্লাহকে আসামী করে একটি মামলা রুজু করেন।
এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টি নেতা ছানাউল্লা ছানু বলেন, আ.লীগনেতা আবেদ হোসেন আমার ভাই। সেই সুবাদে ফকিরউল্লাহ ফকিরেরও ভাই। ভাই ভাইকে আঘাত করতে পারেনা। আমি নিশ্চিৎ জাপা নেতা আজিজুল ও তার বাহিনী কু-পরামর্শ দিয়ে ফকিরউল্লাহকে দিয়ে আবেদকে লাঞ্চিত করার ইন্ধণ জুগিয়েছে। জাপা নেতা আজিজুল মন্দ প্রকৃতির লোক। সে কখনোই এলাকায় থাকেনা কিন্তু সবসময় কুট-কৌশল ব্যবহার করে সে এলাকাকে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে রাখে। আবেদ হোসেন একজন সম্মানিত ব্যাক্তি। তাকে লাঞ্চিতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের শাস্তি দাবী করছি।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফকিরুল্লাহ ফকিরকে শনিবার সকালেই গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়।