নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( মিলন হোসেন ) : নওগাঁর বদলগাছীতে নিভৃত পল্লির ঝাড়ঘড়িয়া গ্রাম। এই গ্রামের কোল ঘেষে বদলগাছী আক্কেলপুর সংযোগ সড়ক রয়েছে। এই সড়কের উত্তর পার্শ্বে ৮ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে ১টি বাগান। বাগানে চাষ করা হয়েছে নানা প্রজাতির গাছ এবং বাগানের মধ্যে খনন করা হয়েছে ৩টি পুকুর। উপরে গাছ আর পুকুরে মাছ যা দেখলে মনে হয় এ যেন সুন্দর্য্যের লীলা ভূমি।
গ্রামের মানুষেরা আনন্দ বিনোদনের জন্য ভ্রমনে যায় শহরে। আবার শহরের মানুষেরা বাস্তময় জীবন থেকে কিছুটা শান্তি প্রশান্তি বা শ্বস্তির নিশ্বাস নিতে ফিরে আসে গ্রামে। গ্রামের খোলামেলা পরিবেশ প্রকৃতি যেন সত্যিই মনোমুগ্ধকর। ঢাকায় বসবাসরত এক শিল্পপতি গ্রামের বাড়ী নওগাঁর পতœীতলা উপজেলার খিরসিন গ্রামে। এ্যাড সুলতান মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে সোহেল চৌধুরী। সোহেল চৌধুরী বেড়াতে যান ঝাড়ঘরিয়া গ্রামে। তিনি এ বাগান ও পুকুর দেখে মুগ্ধ হয়ে তা ক্রয় করেন। এর আগে পুকুর লিজ দেওয়া হত। জমি ক্রয় করার পর সোহেল চৌধুরী লিজ বাতিল করে নিজে মাছ চাষ করে। তার ইচ্ছা মাছ বড় করবেন যা দেখে এলাকাবাসী যেন আকৃষ্ট হয়।
৮ একর জমির উপর গড়ে তোলা এই বাগানে রয়েছে ২১৩টি আমগাছ, ৪৬টি লিচু, ২৩টি বেদেনা, ২০০টি মেহগনি, ১০০টি নারিকেল, ৪০০ টি সুপারি, ৬১টি ড্রাগন ফল, ৫৪টি মালটা, ১০টি দারচিনি, ৭৫টি এলাচ, ৩ প্রকার বাঁশঝাঁড় ও কলম্বলেবু, নটকন, জামরুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। বাগানের পাশে পুকুরের উপর ডাকবাংলো নির্মাণ করা হয়েছে। মাঝে মধ্যে এসে সোহেল চৌধুরী বাগানবাড়ী তার পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। সোহেল চৌধুরী এ প্রতিবেদককে জানান জায়গাটি তার ভাল লেগেছে।
এখানে পিকনিক কর্ণার তৈরী করার ইচ্ছা তার। উচ্চ শিক্ষা নিয়ে যে চাকুরী করতে হবে এমনটা নয়। এখানে পরিশ্রম করে অধিক উপার্জন এবং অনেক বেকারদের কর্মস্থান করা সম্ভব। দর্শনীয় করতে প্রয়োজনে আরও জায়গা বাড়ানো হবে। যা দেখে এলাকাবাসীর যেন উৎসাহ উদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়।