নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্ট ) : রূপগঞ্জে দাফনের নয় মাস পর আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য নাজমা আক্তার (২৭) নামে গৃহবধূর লাশ কবর থেকে উত্তোলন হয়েছে। সোমবার দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামানের উস্থিতিতে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের কুলাদী হুনটাই এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উত্তোলন করা হয়।
এর আগে, যৌতুকের দাবিতে নাজমা আক্তারকে শারিরীক নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ এনে গৃহবধূর ভাই তারিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই গৃহবধূর স্বামীসহ ৫ জনকে আসামী করে নরসিংদী জেলার নারী শিশু ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার অভিযোগের ভিত্তিত্বে আদালত ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে গৃহবধূর লাশ উঠানোর নির্দেশ দেয়।
গৃহবধূর পরিবারের বরাত দিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান জানান, গত ৪ বছর আগে, উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের উত্তর ব্রাক্ষনখালী এলাকার মৃত আবুল হোসেন এর মেয়ে নাজমা আক্তারের সঙ্গে নরসিংদী জেলার শিবপুর থানাধীন পশ্চিম জয় মঙ্গল এলাকার রফিক এর ছেলে আমজাদ হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর তাদের সংসারে আলিফা নামে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। নিহতের পরিবার জানায় বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে নাজমা আক্তারকে বিভিন্ন ভাবে শারিরিক ও মানষিক নির্যাতন করে তার শশুর বাড়ীর লোকজন।
সংসারের সুখের চিন্তা করে সন্তানের দিকে তাকিয়ে নাজমা আক্তার বিভিন্ন নির্যাতন সহ্য করেই ঘর সংসার করছিল। দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে না পাড়ায় এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই নাজমা আক্তারকে হত্যা করা হয় বলে দাবি করেন গৃহবধূর পরিবার।
এ ঘটনায় গৃহবধূর বড় ভাই তারিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নিহত গৃহবধূর স্বামী আমজাদ হোসেনসহ ৫ জনকে আসামী করে নরসিংদী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে দাফনের নয় মাস পর নাজমা আক্তারের লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।