নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : ঈদ আসার আগেই সুসংগঠিত হয়ে সংঘবদ্ধভাবে সক্রিয় হচ্ছে ছিনতাইকারীরা। সময় যতই এগিয়ে আসছে, তার সঙ্গে তাল মেলাতেই যেন বাড়ছে ছিনতাই। ফাঁকা রাস্তায় বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী ও পথচারীদের ব্যাগ, মোবাইল ফোনসেট, মানিব্যাগ, গলায় পড়নে চেইন সহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছোঁ মেরে কেড়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় তারা। এ ধরনের ছিনতাইকারীচক্রকে ‘টানা পার্টি’ নাম দিয়েছে সাধারণ জনগণ।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টায় চাষাঢ়া খাজা সুপার মার্কেট সংলগ্ন সড়কে টানা পার্টির কবলে পড়ে এক পথচারী। এসময় পুলিশ সড়কে টহলরত থাকায় ভুক্তভোগীর ডাক চিৎকারে অল্পের জন্য রক্ষা পায় সে পথচারী। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাধারণ মানুষের হাতে গনধোলাই শিকার হয় সংঘবদ্ধ চক্রের ছিনতাইকারীর এক সদস্য।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে আসা সদর থানা পুলিশের .এস.আই জয়নাল বলেন, চাষাঢ়া খাজা সুপার মার্কেটের সড়কের পাশে এক পথচারী হেটে যাওয়ার সময় পথরোধ করে ছিনতাই করার চেষ্টা করে একদল ছিনতাকারী। এসময় টহলরত পুলিশকে ডাক দিলে তারা দ্রুত এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এক সদস্যকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সদর মডেল থানা ওসি কামরুল কামরুল ইসলাম বলেন, যুবকটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় আনা হয়েছে। সে সম্ভবত হিরন সেবনকারী, মাদকাসক্ত। বিষয়টি জেনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে শহরে অপরাধ সংগঠিত হওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে।
এদিকে ঘটনাস্থলে অন্যান্য পথচারী ও ভুক্তভোগীরা বলেন, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শহরে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। মোটরসাইকেল কিংবা প্রাইভেট কার নিয়ে সন্ধ্যা থেকে রাতভর রাস্তা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ছিনতাইকারীরা। যেখানেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ত্বরিত তৎপর হয়েছেন, সেখানেই অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। অথচ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা আসেন ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর এবং খুব কম ক্ষেত্রেই তাঁদের হাত অপরাধীর নাগাল পায়। তবে এও সত্য যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একার পক্ষেও ছিনতাই, রাহাজানি, ডাকাতি দমন করা সম্ভব নয়।