নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংকরোড এবং চাষাড়া-চিটাগাং রুটের হাজীগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি তথা আইটি স্কুলের কাছে পুলিশ চেক পোষ্টে নানা হয়রানীর শিকার হতে হয় এই পথে চলাচলরত সর্বসাধারণের। এসব চেকপোষ্টে মোটর সাইকেল, সিএনজি, অটো-রিকশা, বাস, লেগুনাসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে যাত্রীদের নামিয়ে তন্য তন্য করে চেক করে পুলিশ সদস্যরা। সঙ্গে থাকা মানিব্যাগ দীর্ঘক্ষণ হাতড়েও চেক করে কিছু না পেলেও নানাভাবে হয়রানী করার অভিযোগ রয়েছে এসব চেক পোষ্টের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা ক্ষোভ শোনা যায়।
শুধু তাই নয়, নারী-পুরুষ এক সাথে যাতায়াত করলে নানা হয়রানি হতে হয় এখানে। স্বামী স্ত্রী হলেও নিস্তার নেই। একদিকে স্বামী অন্যদিকে স্ত্রীকে নিয়ে নানা প্রশ্নবাণে জর্জিত করাসহ কাবিনানামা দেখতে চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে চেকপোষ্টে থাকা পুলিশদের বিরুদ্ধে।
এমন এক বাজে অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক নারী কাউন্সিলর রেহানা পারভিন। বৃহস্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ‘ওপেন হাইজ ডে’তে এই নারী কাউন্সিলর তীব্র ক্ষোভের সাথে জালকুড়ি পুলিশ চেকপোষ্টের হয়রানির কথা তুলে ধরেন।
তিনি তাঁর সদ্য বিয়ে দেয়া মেয়ে ও মেয়ের জামাতার কথা তুলে ধরে বলেন, মেয়ে আর মেয়ের জামাতা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা দিয়ে ভূইঘর থেকে লিংক রোড দিয়ে চাষাড়া যাওয়ার পথে জালকুড়ি পুলিশ চেক পোষ্টে তাদের সিএনজিটিকে থামানো হয়।
এসময় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক তার মেয়ে আর মেয়ে জামাতাকে আলাদা স্থানে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারা একে অপরকে স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিলেও পুলিশ তাদের ছাড়েনি। তখন পুলিশের ওই কর্মকর্তা তাদের কাছে বিয়ের কাবিননামা দেখতে চায়। এতে আমার মেয়ে ভয় পেয়ে আমাকে ফোন করে। আমি তাড়াতাড়ি জালকুড়ি আমার বাড়ি থেকে বাসষ্ট্যান্ড ছুটে যাই। তখন সেই উপ-পরিদর্শক আমাকে দেখে আমার মেয়ে আর মেয়ের জামাতাকে ছেড়ে দেয়।