নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও মদনপুর-জয়দেবপুর মহাসড়কে তীব্র যানজটে জনজীবনে মারাত্মক সংকট নেমে এসেছে এবং সীমাহীন দূর্ভোগে পড়েছে যাত্রীসাধারণ। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সৃষ্ট হওয়া এ যানজট শুক্রবারে এসে চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। যাত্রাবাড়ী থেকে মেঘনা ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে, কাঁচপুর থেকে সিলেট অভিমুখে গাউছিয়া পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে এবং মদনপুর থেকে জয়দেবপুর অভিমুখে নয়াপুর বস্তল পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে দিনভর এ যানজট দেখা গেছে এবং সমগ্র দিন যান চলাচল বন্ধ হয়ে ছুটির দিন হওয়ায় পায়ে হেটে ঘরমুখি যাত্রীদের তাদের গন্তব্যে পৌছতে দেখা গেছে। ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে নাকাল হয়ে জনসাধারণকে তীব্র ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করতে দেখা গেছে এবং শিশু, বয়স্ক ও নারী যাত্রীদের দূর্ভোগের বিষয়টি ছিল সহনীয় মাত্রার বাইরে। তার সাথে আবার যোগ হয়েছে তীব্র গরম এবং রাস্তায় ধুলাবালি। গত এক সপ্তাহ যাবৎ এই যানজটের চিত্র বেশী দেখা যাচ্ছে।
মেঘনা ও দাউদকান্দি দুটি ব্রীজে ওভারলোডেড ট্রাকের ওজন মাপায় ও টোল নেয়ায় ক্ষেত্রে সময় নষ্ট হওয়া এবং রাস্তা মেরামতে সড়ক ও জনপথের ধীর গতির কাজকে দায়ী করেছেন যাত্রী সাধারণ ও গাড়ির সাথে সম্পৃক্তরা। তাছাড়া ওভারটেকিং করতে গিয়ে দূর্ঘটনা এবং রং সাইড দিয়ে ভিআইপিদের গাড়ি ঢুকিয়ে দেয়াও এ যানজটের জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশের যথেষ্ট কর্মতৎপরতা চোঁখে পড়লেও তারাও দীর্ঘ যানজটের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও এই যানজটের কারণে এ উন্নয়নের ধারা ব্যাহত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যাত্রীসাধারণের সাথে কথা বলে জানা গেছে কয়েকদিন পর পর সড়ক ও জনপথের উন্নয়নমূলক ধীরগতির কাজ এবং হাইওয়ে পুলিশের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার দরুন এ রাস্তাগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে যানজটের সমাধান হচ্ছেনা। সরকারের কাছে যাত্রীরা এ সমস্যার সাময়িক নয় স্থায়ী একটি সমাধান কামনা করেছেন।