নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : ধর্ষণের পর মুন্নি আক্তারকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেফতারকৃত আবু তালেব স্বীকার করেছেন। বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালতে এ স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন তিনি।
আবু তালেবের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনাচর্জ ইন্সপেক্টর শহিদুল আলম জানান, গত প্রায় ৪ বছর আগে আবু তালেবের সঙ্গে মুন্নি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি গার্মেন্টেসে শ্রমিক হিসেবে চাকুরি করতেন। গত দুই মাস আগে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে তাদের ঝগড়াঝাটিকে কেন্দ্র করে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বিবাহ বিচ্ছেদের পর মুন্নি আক্তার রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। গত ২৫ মার্চ মুন্নি আক্তারের সঙ্গে আবু তালেবের আপোষে মোবাইল ফোনে কথা হয়ে গোলাকান্দাইল ট্রাফিক বক্সের কাছে তাদের দু’জনের দেখা হয়। রাত ১১টার দিকে উপজেলার সাওঘাট এলাকার বুলবুলের বাড়ির পার্শের একটি ডোবার পাড়ে মুন্নি আক্তারকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তাদের দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে মুন্নি আক্তারকে ওড়না পেঁচিয়ে শ^াসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায় আবু তালেব ।
উল্লেখ, গত (২৬ মার্চ) সোমবার দুপুরে উপজেলার সাওঘাট এলাকার বুলবুলের বাড়ির পাশে^র একটি ডোবার পাড় থেকে মুন্নি আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই রাতেই ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারেকুজ্জামান বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মুন্নি আক্তার কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার ফুলকারচর এলাকার সোবহান মিয়ার মেয়ে। বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার গোড়াই হাটুভাঙ্গা এলাকায় বসবাস করে আসছেন। এছাড়া গ্রেফতারকৃত আবু তালেব উলিপুর থানার কাজীয়ারচর এলাকার মৃত হযরত আলীর ছেলে। ঘটনাস্থলের আশপাশে ঘুরাফেরার সময় সন্দেহ হলে মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) দুপুরে আবু তালেবকে গ্রেফতার করা হয়।