প্রতিবেশীকে টাকা দিতে স্ট্যাম্পের প্রয়োজন হয় না : জাপা নেতা এড. মজিদ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : একজন স্কুল শিক্ষিকাকে জুতাপেটা ও লাঞ্ছিতের পর এবার ঠুকে দেয়া হলো লাঞ্ছিতের শিকার শাহীনুর পারভীন শানুর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা। নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট (খ অঞ্চল) আদালতে বুধবার মামলাটি দায়ের করেন প্রভাবশালী নেতা এড. আব্দুল মজিদ খোন্দকার।

এড. আব্দুল মজিদ খোন্দকার দাবি করেছেন, শিক্ষিকা শাহিনূর পারভীন শানু ৫০ হাজার টাকা তার কাছে ধার নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে এই টাকা চাইতে গেলে শিক্ষিকা নানাভাবে তর্কে লিপ্ত হয় এবং পরবর্তীতে টাকা আত্মসাৎ করার জন্য ফতুল্লা থানায় মিথ্যে অভিযোগ এনে তাঁর স্ত্রী সহ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে ৫০ হাজার টাকার নেয়ার বিষয়ে জাতিয় পার্টির সদস্য সচিব এবং সুপ্রিম কোর্ট ও জেলা আদালতের আইনজীবী আব্দুল মজিদ খোন্দকার নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ প্রতিবেদককে বলেন, তারা দেওলিয়া পরিবার। শুধু আমার কাছে নয়, আরো অনেকের কাছেই টাকা নিয়েছে। টাকাটি আপনি কবে দিয়েছিলেন? কোথায় দিয়েছিলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সব রেকর্ডে আছে, এখন বলা যাচ্ছে না। তারপর আনুমানিক কোন মাসে হতে পারে তা জানতে চাইলেও তিনি উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান। পরে টাকা লেনদেনের বিষয়টি কোনও স্ট্যাম্প বা লিখিত কিছু প্রমানস্বরূপ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিবেশীকে টাকা দিতে স্ট্যাম্পের প্রয়োজন হয়না। আমার বাড়ি থেকে তার বাড়ি ২০ গজ দুরত্ব তাই স্ট্যাম্পের আবশ্যকতা নেই।

শিক্ষিকা লাঞ্ছিতের ঘটনাটি আলোচনায় আসার পর আপনি টাকা লেনদেনের বিষয়টি চাইলে সংবাদকর্মীদের বলতে পারতেন। কিন্তু এটা গোপন রাখলেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা এমন কোন ঘটনা নয় য়ে সবাইকে জানাতে হবে। তবে এটা একটি লোকাল চক্র চক্রান্ত চালাচ্ছে। তা না হলে এই ঘটনা এভাবে ইলেকট্রনিক মিডিয়া পর্যন্ত যেত না। আমিও তোমাদের লোক একটি পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে আছি। মামলা হয়েছে সিআর মামলা নং ১৭৭/১৮। আদালত এর বিচার করবে।

প্রসঙ্গত, গত ১১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষিকা শাহিনূর পারভিন শানুকে অ্যাড. আব্দুল মজিদ খন্দকার ও তাঁর স্ত্রী তাঁদের নাতনিকে বাড়িতে যেয়ে পড়ানোর কথা বলেন। এতে ওই শিক্ষিকা অপারগতা প্রকাশ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মজিদ দম্পতি। এক পর্যায়ে শিক্ষিকা শাহিনূরকে শারীরিক লাঞ্ছনাসহ জুতা পেটাও করা হয়।

এ ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সচেতন মহল। এমনকি এ ঘটনায় শিক্ষিকার পিতা সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। এতে পুলিশ এড. মজিদকে গ্রেফতারও করে। পরে আদালত থেকে পরের দিনই তিনি জামিনে বের হয়ে আসেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত