এবার সহকারী শিক্ষক নিয়োগেও অনিয়ম !

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪(রূপগঞ্জ প্রতিনিধি): রূপগঞ্জে হাটাবো আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অনিয়মের অভিযোগ এনে খোঁদ ম্যানেজিং কমিটি উক্ত নিয়োগ বয়কট করেছেন বলে জানা গেছে।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি সূত্রে জানা যায়,  দীর্ঘদিন যাবত হাটাব আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ শুণ্য থাকায় জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে রূপগঞ্জ উপজেলার ৩ জনসহ মোট ১৩ জন প্রার্থী আবেদন করেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ১০ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারী বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় একই বিদ্যালয়ের ইংরেজী শিক্ষক (সিনিয়র) নাসির উদ্দিন, বিজ্ঞানের সিনিয়র শিক্ষক শামীম মিয়া এবং  কম্পিউটার শিক্ষক (জুনিয়র) মিলি আক্তার অংশ নেন। এতে পরীক্ষকরা ৫০ নম্বরের  পরীক্ষায় মিলি আক্তারকে ৪২ নম্বর দিয়ে নিয়োগ বোর্ডে মনোনীত নির্বাচন করেন। অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগ বোর্ডের মনোনীত প্রধান নারায়ণগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরীক্ষা হিসেবে  ছিলেন মোস্তফা কামাল। এছাড়া  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওমর ফারুক, আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর জায়েদুল ইসলামসহ ম্যানেজিং কমিটির ৩ জন নিয়ে কোরাম গঠন করেন। তবে নিয়োগ কমিটির অন্য সদস্যদের প্রশ্ন করার সুযোগ না দিয়ে প্রধান পরীক্ষক মোস্তফা কামাল নিজেই সকল প্রশ্ন করে মিলি আক্তারকে উত্তীর্ণ করেন।

এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আম্বার গ্রুপের পরিচালক শওকত আজিজ রাশেদ, দাতা সদস্য শাহীন, অভিভাবক প্রতিনিধি মাসুদুল ও জুয়েল উক্ত নিয়োগ পরীক্ষায় ফলাফল বয়কট করেন। এতে বিদ্যালয়টিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে, সাত লাখ টাকার বিনিময়ে মিলি আক্তারকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে উত্তীর্ণ করা হয়েছে।

 হাটাব আদর্শ  উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শওকত আজিজ রাশেদ বলেন, বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকদের টপকিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কম্পিউটার শিক্ষককে অনিয়ম করে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাই অবিলম্বে উক্ত নিয়োগ বাতিল করে পূনরায় পরীক্ষা নেয়ার দাবী জানান তিনি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর জায়েদুল ইসলাম বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় সকলের প্রশ্ন করার নিয়ম ছিল। তবে সকলের সম্মতিতে মোস্থফা কামাল নিজেই সকল প্রশ্ন করে তার মনোনীত মিলি আক্তারকে উত্তীর্ণ করেছেন।

পরিক্ষক মোস্থফা কামাল বলেন , কোন প্রকার অনিয়ম করা হয়নি। পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মিলি আক্তার সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন, তাই তাকেই নিয়োগ দানের জন্য যোগ্য হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওমর ফারুক ভুঁইয়া বলেন, কমিটি বয়কট করলেও লিখিত কোন আবেদন করেননি। এখানে কোন অনিয়ম করা হয়নি।  টাকা নেয়াতো প্রশ্নই উঠেনা।
এসব বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোন প্রকার  লিখিত অভিযোগ পাইনি । পেলে উর্ধ্বতন বিভাগে জানিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

add-content

আরও খবর

পঠিত