নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ): উপজেলার হাবিবনগড় এলাকার কাঞ্চন-কুড়িলবিশ্বরোড সড়কে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষ ও পুলিশ ত্রীমুখী সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী সুমন মিয়া নিহতের ঘটনায় আওয়ামীলীগের দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মঠেরঘাট রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ও রূপসী এলাকায় পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন।
রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ শাহজাহান ভূইয়াঁ বলেন, হাবিবনগর এলাকায় সুমন হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্থানীয় এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক) রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে পরিকল্পিতভাবে চেয়ারম্যান রফিকসহ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। যা এমপি হীনমন্নতার পরিচয় দিয়েছেন।
এসব ঘটনায় ছাড়াও রাজনীতি প্রতিহিংসা বশত আওয়ামীলীগের ১২শত নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে প্রায় দেড় শতাধিক মামলা দেয়া হয়। এসব মামলায় উপজেলার আ’য়ামীলীগের শীর্ষ নেতা থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতা কর্মীও রেহাই পায়নি। সর্বশেষ সুমন হত্যাকান্ডের ঘটনায় রফিকুল ইাসলাম রফিকসহ অসংখ্য আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়।
সুমন হত্যা মামলায় চেয়ারম্যান রফিককে জড়িয়ে হুকুমের আসামী করে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও নেক্কারজনক। তিনি আরো জানান, নিহত সুমনের বাবা, মা, বেচে থাকলেও একটি বিশেষ উদ্যেশ্যে তার শ^শুরীকে দিয়ে এ মামলার বাদী করানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ, জেলা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, ইউপি চেয়ারম্যান আবু হোসেন ভুইয়া রানু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল বাশার টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক ভুইয়াসহ আরো অনেকে।
পৃথক সংবাদ সম্মেলনে রূপসী এলাকায় উপজেলার আওয়ামীলীগ সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা বলেন, উপজেলার আওয়ামীলীগের একটি অংশ তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ওই পক্ষটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রফিক চেয়ারম্যান। নিরীহ মানুষের জমি জবরদখল, ভুমিদস্যুতাসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তারা। আর এসবকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া হয়না বলেই তারা আমাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে এবং সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক) এর বিরুদ্ধে নানা ভাবে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে। এখন এ বিরোধীতাকে কাজে লাগিয়ে একটি হত্যাকান্ডকে আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে পক্ষটি। এছাড়া ধর্ষণ, হত্যা, অস্ত্রবাজী, জমিদখলসহ অপরাধমুলক কর্মকান্ড করার অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেউ যদি মামলা করেন, সেই অপরাধের দায়ভারতো আওয়ামী সংগঠন নিবেনা। উন্নয়নের ধারাকে বাঁধাগ্রস্থ্য করতেই ওই পক্ষ উঠে-পড়ে লেগেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসি আলম নিলা, যুবলীগ সভাপতি কামরুল হাসান তুহিন, নিহত সুমন মিয়ার বাবা মনু মিয়া, মা সাহিদা বেগম, মামলার বাদী ও নিহতের শাশুরী কাজল রেখাসহ আরো অনেকে।