নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালাম বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন প্রায় বন্দিদশায় আছেন। এই বয়সে তাকে প্রতিদিন মিথ্যা মামলার জন্য কোর্টে হাজিরা দিতে হচ্ছে। স্বামী, সন্তান হারিয়েছেন আরেক ছেলেকে বুকে টেনে নিতে পারছেন না। তবুও তিনি অপশক্তির কাছে মাথা নত করেননি, দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে গিয়ে এই অবৈধ সরকারের নিযার্তন নিপীড়ন সহ্য করতে হচ্ছে। গতকাল বাদ আছর কালিবাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে আরাফাত রহমান কোকোর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এড. জাকির হোসেন, ফখরুল ইসলাম মজনু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন আনু, মহানগর যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক সরকার আলম, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক আবুল কাউছার আশা, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আলী আজগর, জেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের যুগ্ম-আহবায়ক ফারুক চৌধুরী, মহানগর স্বেচ্ছা সেবক দল নেতা মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু।
সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভার পুর্বে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এড. আবুল কালাম আরও বলেন, আরাফাত রহমান কোকো’কে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। তার অপরাধ ছিলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীতে বিশ্বাসী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান। এ সময় তিনি আরও বলেন, কোকো রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়েও সে এই কর্মকান্ড থেকে দূরে ছিলেন জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী এই পরিবারটিকে ধ্বংস করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা একের পর এক নির্যাতন করেছে জিয়া পরিবারের উপর।
সাধারণ সম্পদক এটিএম কামাল বলেন, একটি নিল নকশার নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশনেত্রীর উপর যে জুলুম করেছে তা নজিরবিহিন। শহীদ জিয়াকে হত্যার পর ষড়যন্ত্রকারীরা যা ভেবে ছিলো তার ও কোকোর জানাযা এবং চিকিৎসা শেষে দেশনেত্রীকে স্বাগত জানাতে এয়ারপোর্টে জনতার ঢল তাদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। দেশের জনগন এখনো জিয়া পরিবারের প্রতি আস্থা রাখেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম সরদার, জাহাঙ্গীর মিয়াজী, আরিফ আহম্মেদ গোগা, ফেরদৌসুর রহমান, তাহের আলী, মহানগর স্বেচ্ছা সেবক দলের নেতা আব্দুর রশিদ হাওলাদার, রাব্বী, মহানগর শ্রমিক দল নেতা ফজলুল হক, নুর মোহাম্মদ, হারুন শেখ, খোকন, দুলাল, মতিন প্রমূখ।