নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : ইউনিভার্সাল ফুড লি: এর পরিবেশক মো. শাহাজালাল এর কাছ থেকে ৪৫.৫০ লক্ষ (পয়তাল্লিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা নিয়ে উধাও হবার অভিযোগ উঠেছে মো. শামীম হোসেন’র উপর। এব্যাপারে সদর মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ জানয়ারী ইউনিভার্সাল ফুড লিমিটেড’র পরিবেশক আল্লাহ ভরসা জেনারেল ষ্টোরের স্বত্বাধীকারী মো. শাহাজালাল বিবাদী শামীম হোসেনকে নিতাইগঞ্জ এলাকায় কিছু মনিহারি দোকানে টেষ্টি স্যালাইন বিক্রয়ের অগ্রীম টাকা উত্তোলন করার জন্য পাঠালে ৭টি দোকান থেকে ১০ লক্ষ (দশ লক্ষ), কালিরবাজারস্থ এম চাঁন মার্কেট’র ৬টি দোকান থেকে ১৫ লক্ষ (পনের লক্ষ) এবং ফলপট্রি এলাকার ৮টি দোকান থেকে ২০ লক্ষ (বিশ লক্ষ) সর্বমোট ২১টি দোকান থেকে ৪৫,০০,০০০ (পয়তাল্লিশ লক্ষ) ও গোডাইন থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ ৪৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে। সঠিক সময়ে উক্ত বিবাদী দোকানে ফেরত না আসলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ( ০১৭৪৩-৭৬০২০৩,০১৮১৭-৬২৫৭০৩ ও ০১৭১৩-৪৮৪০৪৭) নাম্বারে কল করা হলে সে ১০ (দশ) মিনিটের মধ্যে আসতেছি বলে মোবালইল ফোন গুলো বন্ধ করে দেয়।
ফোন বন্ধ পাওয়া গেলে বাদী ইউনিভার্সাল ফুড লিমিটেড’র এরিয়া ম্যানেজার রেজাউল করিমকে জানালে সে বিবাদীর বাসায় গিয়ে দেখেন তালা বন্ধ। তাকে বহু খোজাখুজির পর না পেয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মো. শাহাজালাল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৫৮(৩)/২ তারিখ-১১/০১/১৮ ইং। বিবাদী মো. শামীম হোসেন ঝালকাঠি জেলার নলসিটি থানাধীন ঘোডন্দা গ্রামের হারুন অর রশিদের পুত্র। বর্তমানে সে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার শাহী মসজিদ বিদ্যুৎ অফিসের পাশে ভাড়া থাকতেন।
এব্যাপারে মামলার বাদী মো. শহাজালাল জানান, শামীম হোসেন ৫ বছর ধরে এ প্রতিষ্ঠানে কাজ করে আসছে। বিভিন্ন সময় সে অত্র প্রতিষ্ঠানের অনেক টাকা বহন করেছে। কিন্তু গত ১০ গত জানুয়ারী অনুমান ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটার মধ্যে প্রায় ২১টি দোকান থেকে মোট ৪৫ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে এবং গোডাউন থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা নেয়। টাকা নিয়ে আসতে দেরী হলে তার ফোন নাম্বারে কল করা হলে সে ১০ মিনিটের কথা বলে তার মোবাইলগুলো বন্ধ করে দেয়। পরে তাকে আর খুজে পাওয়া যায়নি। সাথে সাথে বিষয়টি ইউনিভার্সাল ফুড লি: এর ম্যানেজারকে অবহিত করি। তাকে সংগে নিয়ে শামীম হোসেন’র বাসায় গিয়ে দেখি তালা বন্ধ। তাই তাকে না পেয়ে উক্ত ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করি। আমি আমার টাকা ফেরতসহ ওই প্রতারক শামীমকে গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি।
বর্তমানে বিবাদী ওই টাকার শোকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তিরত রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পরিবারের সদস্যরা। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রাজ্জাক জানান, এ ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।