নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ফতুল্লা প্রতিনিধি ) : ফতুল্লা থানা আওয়ামলীগের তের বছর পার হচ্ছে। দীর্ঘ এই সময়ে একই পদে একই নেতা দায়িত্ব পালন করছেন। যদিও দুই বছর অন্তর অন্তর পদ পরিবর্তন হওয়া কথা। কিন্তু হয়নি। পদ ধরে রাখার মিশনে তা হতে দেয়া হয়নি বা হচ্ছে না। তাছাড়া সম্মেলন না হওয়ায় নতুন নেতৃত্বও সৃষ্টি হচ্ছে না। এমটাই অভিযোগ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের।
দলীয় সুত্রমতে, ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ফতুল্লার ডিআইট মাঠে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়। ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তৎকালীন প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, বিশেষ অতিথি জাতীয় শ্রমিকলীগের তৎকালীন সভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টার, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তৎকালীণ ত্রাণ ও সমাজ কল্যান সম্পাদিকা অধ্যাপিকা নাজমা রহমানসহ নেতৃবৃন্দ। ওই সম্মেলনে শামীম ওসমানের আর্শিবাদে এম সাইফ উল্লাহ বাদল সভাপতি ও শওকত আলী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্র মতে দুই বছর অন্তর সম্মেলন হওয়ার নিয়ম থাকলেও গত ১৩ বছর ধরে সম্মেলন হয়নি। ফলে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরী হয়ে আছে।
এদিকে দীর্ঘদিন একই ব্যাক্তিরা শীর্ষ পদ দখল করে রাখায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে। তারা চাচ্ছেন সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব তৈরী হোক। নতুনরা সুযোগ পাক। তাছাড়া বর্তমান সভাপতি বয়সের ভারে বার্ধক্যে পড়েছেন। তিনি জোরালো ভাবে আগের মতো দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারছেন না। অধিকাংশ সময় দলীয় কর্মসুচিতে গড় হাজির থাকছেন। ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফ উল্লাহ বাদল কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী। যদিও শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য সাইফউল্লাহ বাদল এর আগে কয়েকবার স্বেচ্ছায় পদত্যাগের ঘোষনা দিয়ে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা পোষন করলে ফতুল্লায় আওয়ামী রাজনীতি সংশ্লিষ্টদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছিল নতুন নেতৃত্ব আসতে পারে। প্রান ফিরে পেতে পারে থানা আওয়ামীলীগ। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। স্বপদ আঁকড়ে ধরে বসে আছেন তিনি।
ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, অচিরেই নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি না করতে পারলে ভবিষ্যতে এই থানা এলাকায় আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।
এ বিষয়ে সাধারন সম্পাদক শওকত আলী বলেন, জেলা কমিটি অনুমোদন দিবে থানা কমিটির। আমাদের জেলা কমিটি হইতে একটু দেরি হওয়াতে থানা কমিটির সময় একটু বেশি হয়ে গেছে। সম্মেলন আগামী বছর হবে ইনশাল্লাহ। জেলা কমিটি সদস্য নবায়নের বই দিলেই এ সম্মেলনের কার্যক্রম চালু হয়ে যাবে।
এদিকে সাইফ উল্লাহ বাদলের মোবাইলে মঙ্গলবার রাত ৯টায় যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।