ফতুল্লায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ফতুল্লা প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায় স্বামীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন গার্মেন্টস কর্মী স্ত্রী। বুধবার দিবাগত রাতে ফতুল্লার কায়েমপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত  গার্মেন্টস কর্মী সাজেদা আক্তার মীম (২০)কায়েমপুরস্থ ফকির গার্মেন্টসসে চাকুরী করতো। তিনি জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার সিরাজাবাদ গ্রামের হারুন উর রশিদের মেয়ে। ঘাতক স্বামী শামিউল ইসলাম ইসলামপুর থানার তাসিহারা গ্রামের সানু মিয়ার ছেলে।রাতেই ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইন চার্জ কামাল উদ্দিনসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। ঘাতক স্বামী সামিউল পলাতক রয়েছে। নিহত মীমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ রাতেই ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে থানা সূত্র।

নিহত মীমের মা জমেলা জানান, মীম ফতুল্লার কায়েমপুরস্থ ফকির গার্মেন্টসসে চাকুরী করতো। চাকুরী জীবনে বেতন থেকে বেশ কিছু টাকা জমিয়ে রেখেছিল নিজের বিয়ের জন্য। মীমের আশা ছিল সে একজন কোরআনে হাফেজকে বিয়ে করবে। সেই অনুযায়ী এক বছর আগে মীমের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় সামিউলের। বিয়ের সময় সামিউলকে ১লাখ টাকা দিয়েছিল মীমের পরিবার। কিন্তু বিয়ের সময় মীমের পরিবার জানতো না যে, সামিউল এর আগে আরো একটি বিয়ে করেছিল। বিয়ের পর সব ফাঁস হয়। এ নিয়ে মীম ও সামিউলের পরিবারের সাথে কথা কাটাকাটি হতো। পরে স্বামীর সাথে গ্রামের বাড়ি থেকে সস্তাপুর এলাকার আমীর হোসেনের বাড়িতে একটি রুম ভাড়া নেয় মীম ও সামিউল। প্রায় ২ মাস আগে পুনরায় ফতুল্লার দক্ষিণ সস্তাপুরের এসবি গার্মেন্টেসসে চাকুরী নেয় মীম। স্বামী সামিউল ঠিক মতো ভরণ পোষণ দিতো না স্ত্রী মীমকে। দুই মাসের মধ্যে সামিউল স্ত্রীর ভাড়া বাড়িতে বেশি আসতো না। কিন্তু মাস শেষে বেতনের টাকার জন্য সামিউল তার স্ত্রীকে চাপ প্রয়োগ করতো। বুধবার রাতে মীমের ছোট বোন ইতি তার বোনের বাসায় আসে। এসময় মীমের মুখ চাদর দিয়ে ঢাকা ছিল। অনেক ডাকাডাকি করে বোনের সাড়াশব্দ না পেয়ে ইতি চিৎকারে করে। পরে আশপাশের লোকজন এসে মীমকে মৃত দেখতে পায়।

এ ব্যপারে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি হত্যাকান্ড।  মীমকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া শামিউল ইসলামকে আটকের চেষ্টা চলছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত