নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকায় আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোশররফ হাসান মোল্লা বাবুর নেতৃত্বে আয়োজিত সরকার দলীয় অনুষ্ঠানে হামলা করেছে স্থানীয় বিএনপি-জামাত চক্রের নেতা মাহ্ফুজুর রহমান হুমায়ূন গং। ২৫ নভেম্বর শনিবার সকালে রূপগঞ্জের দাউদপুরে মোশাররফ হাসান বাবুর নিজ বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশে এ অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপি আওয়ামীলীগ উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিষ্ট্রার-এ অন্তর্ভুক্ত করায় সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকায় কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা মোশাররফ হাসান মোল্লা বাবুর নেতৃত্বে এক বিশাল মোটর শোভাযাত্রা এবং আনন্দ মিছিলের আয়োজন করা হয়। আয়োজিত এ মোটর সাইকেল শোভাযাত্রায় কয়েক’শ মোটর সাইকেল এবং গাড়িবহর রূপগঞ্জের কাঞ্চন ব্রীজ এলাকা থেকে শুরু হয়ে উপজেলা পরিষদ এবং রূপসী এলাকাসহ দাউদপুর পর্যন্ত উপজেলার প্রধান সড়কগুলি প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রা শেষে ঐ হামলার ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে মোশাররফ হাসান বাবু উপস্থিত সমাপনী বক্তব্য দিয়ে মোটর শোভাযাত্রা ও আনন্দ মিছিলের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এ সময় সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলেিগর কেন্দ্রীয নেতা মোশাররফ হাসান মোল্লা বাবু বলেন, আমাকে ওরা হত্যা করার উদ্যেশে এ অতর্কিত হামলা করেছিল। যেভাবে একের পর এক হামলায় আমার নেত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যা করার চেষ্টা করেছে তেমনি এই রূপগঞ্জেও ঐ একই চক্র আমাকেও আমার কর্মী বাহিনীকে ওরা হত্যার চেষ্টা করেছে।
ঘটনার বিবরনে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষন শ্রেষ্ঠ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে ম্বীকৃতি লাভ করায় সারাদেশের ন্যায় আমরা যখন আনন্দ মিছিল ও মোটর শোভাযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম ঠিক তখনি আনুমানিক সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন গং লাঠি সোটা হাতে ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার নিজ বাড়ির ভেতর অনাধিকার প্রবেশ করে আমাকে সহ উপস্থিত আওয়ামী নেতা-কর্মীদের উপর অতর্কিত এ হামলা চালায়। এতে করে দুই পক্ষের মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এসময় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, রুহুল মোল্লা, সোহেল মোল্লা ও প্রতিপক্ষের তোবারক সহ উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাঈল হোসেন এই প্রতিবেদককে জানান, জাহাঙ্গীর আলম মোল্লার লিখিত একটি অভিযোগ হাতে পেয়েছি, প্রতিপক্ষরা আহত হয়েছে শুনেছি কিন্তু কোন অভিযোগ পাই নাই। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।