নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বন্দরের আইন-শৃংখলা রক্ষা ও সামাজিক শান্তি-শৃংখলা প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিকদের সহযোগীতা চেয়েছেন বন্দর থানার নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবুল কালাম। ২৩ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বন্দর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বন্দরের স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি কমল খান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বন্দর প্রেস ক্লাবের বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি কবির হোসেন, সহ-সভাপতি এস এম শাহিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসিরউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আমীর হোসেন, অর্থ সম্পাদক ইমরান মৃধা, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক মেহেবুব মিয়া, সাংবাদিক জিএম মজনু, মাহফুজুল আলম জাহিদ, জি এম সুমন, মো: সহিদুল ইসলাম শিপু, রিপন, দ্বীন ইসলাম, সুমন ও প্রমূখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বন্দর প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক কাজিম আহমেদ।
ওসি আবুল কালাম তার বক্তব্যে বলেন, আমি শুনেছি বন্দর খুবই শান্তিপূর্ণ এলাকা। এখানে বর্তমান এমপি মহোদয়ের আহ্বানে ও প্রচেষ্টায় এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজনৈতিক সহাবস্থান তৈরী হয়েছে। সকল রাজনৈতিক দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা একই প্লাটফর্মে থাকায় রাজনৈতিক হানাহানি নেই। তবে মাদক এখানে ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধী। এই ব্যাধী দূর করতে হলে সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে বন্দরের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগীতা চাই। বন্দরে মাদক থাকবেনা, ইভটিজিং থাকবেনা এ কথা আমি বলবোনা, কাজের মধ্য দিয়ে প্রমান দিতে চাই।
মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রেস ক্লাব সভাপতি কমল খান বলেন, বন্দর অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় এলাকা তবে যখন কোন ঘটনা ঘটে তখর বড় ঘটনাই ঘটে। তাই আইন-শৃংখলা রক্ষায় পুলিশকে সর্বদা সর্তক থাকতে হবে। মাদক নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, আমরা কাজে প্রমান চাই। আমি বন্দর বাসীর পক্ষ থেকে ওসি সাহেবকে আশ^স্ত করতে চাই, কোন মাদক ব্যবসাযী গ্রেফতার হলে আমাদের এমপি মহোদয় বা কোন জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা আপনার তদবীর করবেনা। মাদক হচ্ছে আইন-শৃংখলা অবনতির মূল। তাই যেকোন মূল্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পুলিশ-সাংবাদিকের বন্ধুত্ব বেশীদিন থাকেনা। কারন পুলিশ অপরাধে জড়ালে সাংবাদিক তা লিখবেই। আর এতে মনোমালিন্যের তৈরী হবে। তবে আমরা নিশ্চয়তা দিতে চাই বন্দরের সাংবাদিকরা সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করেন না। যাচাই বাছাই করেই করেন। তবে অনেক সময় পুলিশের অসহযোগীতার কারনে তথ্য না পেলে একপেশে সংবাদ তৈরী হয়। এজন্য অনুরোধ থাকবে তথ্যগুলো যেন আমরা যথাসময়ে পাই তবেই বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন সম্ভব হবে।