হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী মহানগর ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড় !

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ভ্রাম্যমান সংবাদ দাতা ) : হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী অছাত্র কামাল ওসমান মহানগরের উত্তর ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক পদদারীর কর্মকান্ডে সর্বত্রই সমালোচনার ঝড় বইছে। আয়নাবাজির কৌশলে একজন অছাত্র বহিরাগত সন্ত্রাসী, চাদাঁবাজ যদি হয়ে যায় ঢাকা কলেজের ছাত্র এবং ঢাকা উত্তর মহানগর ছাত্রলীগের নেতা তবে এ লজ্জা আমরা রাখবো কোথায়? এ প্রশ্ন এখন দলের নিবেদিত প্রাণ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী সমর্থকদের। অভিযোগ রযেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক হয়ে নানা জায়গায় চাঁদাবাজি ও তদবির করে বিপুল অর্থের মালিক বনে গেছেন কামাল ওসমান বিশ্বাস নামে এই অছাত্র।

জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের স্লোগান মাষ্টারখ্যাত, বর্তমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অন্যতম সহ-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জীবন এর উপর হামলা করেছিলো এই কামাল ও তার সহযোগী ছাত্র নামধারী কতিপয় সন্ত্রাসীরা। দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে ও গুলিবৃদ্ধ অবস্থায় তখন  রাস্তায় পড়ে ছিলো তৎকালীন এই তরুল ছাত্রনেতা। পরে নিউমার্কেট থানা পুলিশ ও তৎকালিন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতারা উদ্ধার করে তাকে চিকিৎসা দেয় রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে। এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়, যার নং ২৯(০১)২০১৩, ধারা- ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭। যাহা বিজ্ঞ সি.এম.এম আদালত- ১৫ বিচারাধীন।

 সূত্র জানায়, উল্লেখিত মামলার প্রধান আসামী কামাল হোসেন সেই সময় ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জনির অনুসারী ছিলো। সে ঢাকা কলেজের ছাত্র পরিচয়ে আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস হলে জনির রুমে থাকতো। আনোয়ার হোসেন জীবন এর উপর এই মামলার যখন চার্জশিট গঠন হয়, তখন থেকে সে আর হলে থাকে না।  এবং এমন কৌশল অবলমস্বন করে যা অমিতাভ রেজার আলোচিত সিনেমা আয়নাবাজি কে হার মানিয়েছ।  আয়নাবাজি সিনেমায় যেমন অর্থের বিনিময়ে  একজনের সাজা আরেকজনকে ভোগ করতে দেখা যায়। ঠিক তেমন করে এই মামলায় দেখা গেলো আরেক আয়নাবাজির কৌশলী ভূমিকা।

 কামাল হোসেন নামে ১১-১২ সেশনের রাষ্টবিজ্ঞানের এক ছাত্র কলেজ পরিবর্তন করে তিতুমীর কলেজে ইংলিশ ডিপার্টমেন্টে চলে যায়। আর এই অছাত্র, বহিরাগত কামাল আসল কামালের পরিচয়ে তার নেতা জনির গ্রুপ ভারী করার জন্য সুযোগটি কাজে লাগিয়ে হলে ঢুকে পড়ে। এরপর থেকে নিউমার্কেট সহ অত্র এলাকায় চুরি ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপকর্মের নিয়ন্ত্রন সে করতো।  একপর্যায় ঢাকা কলেজের ছাত্র পরিচয়ে সে মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের পোস্ট পান। আর এদিকে নিরাপরাধ তিতুমীর কলেজে ছাত্র কামাল এখন হত্যা চেষ্টা মামলার ১ নাম্বার আসামি হয়ে দিশেহারা।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক, মৃত্যুঞ্জয়ী খ্যাত ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন জীবনের কাছে আরও জানা যায়, আমি সেই সন্ত্রাসীদের হাতে গুরুতর আহত হওয়া জীবন, যে মৃত্যুর সন্নিকট থেকে ফিরে এসে আজ জীবনের দেখা পেয়েছি। যা আয়নাবাজি না এটা ভেল্কিবাজি। একটা সুপার ইউনিটের নেতা নির্বাচিত বা মনোনীত করার আগে তার সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য নেওয়া দরকার বলে মনে করি। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই এই কামাল পড়াশুনা করে না, তাছাড়াও সে বহুল আলোচিত একটা হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী। সে কি করে মহানগরের মত একটা সুপার ইউনিটের নেতা হয় । আয়নাবাজির কৌশলে একজন অছাত্র বহিরাগত সন্ত্রাসী, চাদাঁবাজ যদি হয়ে যায় ঢাকা কলেজের ছাত্র এবং ঢাকা উত্তর মহানগর ছাত্রলীগের নেতা তবে এ লজ্জা আমরা রাখবো কোথায়?এই বিষয়ে আপনি মহানগর নেতৃবৃন্দর কাছে জেনে নিবেন।

এই আলোচিত মামলার আসামী কিভাবে মহানগরের নেতা হয় এটা জানার জন্য ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতিকে ফোন করে পাওয়া যায়নি।

সূত্রে আরও জানা গেছে এই কামাল হোসেন বর্তমানে মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাসবিরুল হক অনুর অনুসারী হয়ে ধানমন্ডীতে প্রকাশ্যেই অবস্থান করছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত