নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( শহর প্রতিনিধি ) : শহরের আল্লামা ইকবাল রোড এলাকায় একটি চুরির ঘটনার তদন্তে আসে সদর মডেল থানা পুলিশ এসআই সাইফুল ইসলাম। সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় উল্লেখিত এলাকায় অভিযোগকারী ও চুরি সন্দেহভাজনকে নিয়ে বসলে পাল্টে যায় চিত্র। জানা গেছে, বাসার ভিতরের কক্ষ থেকে গত ৬ই অক্টোবর সকাল ৮টায় শার্টের পকেট থেকে ১৫ হাজার টাকা ও অন্য আরেকটি কক্ষ থেকে একটি সামসাং মোবাইল খোয়া যায়। আর ওই সময় একমাত্র গৃহকর্মী বুলবুলি ছাড়া আর কারো প্রবেশ বা বাহিরে গমন হয়নি। তাছাড়া একটি দালানের কলাপসি গেইট খোলার পরে, বাসার দরজা খুলে দুইটি কক্ষ থেকে বহিরাগত কারো কিছু নেয়াটা অস্বাভাবিক মনে করেন অভিযোগকারী। এতে গৃহকর্মীর চলাফিরায় সন্দেহ হয়। বেশকিছুদিন মানবিক দিক বিবেচনা করে স্থানীয়দের কথা অনুযায়ী তাকে সুযোগ দেয়া হয়, যেন উল্লেখিত টাকা ও মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কিন্তু নানা টাল বাহানা করে ও মায়া কান্নায় সকলকে মোহিত করার পায়তারা চালাতে থাকে সন্দেহীত চোর পক্ষ। পরবর্তীতে কোন উপায় না পেয়ে এ মর্মে সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন উল্লেখিত এলাকায় বসবাসকারী একজন মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সৈয়দ লুৎফর রহমান।
ঘটনার সূত্রমতে এস আই সাইফুল ইসলামকে মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান বিগত কয়েকদিন যাবতই এ ব্যপারে একটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালে সেও আসছি বলেই অভিযোগকারীকে হয়রানী করতে থাকে। এবং কয়েকদিন মুঠোফেনে ফোন করা সহ থানায়ও যায়। কিন্তু এস আই সাইফুল ইসলামের সহযোগীতা হাত আর প্রসারিত হয় নেই। সর্বশেষ গতকাল অভিযোগকারীর অনেক মিনতির পরে আসলেও, তিনি সন্দেহীত চোরের পক্ষে নিয়েই সাফাই গাইতে থাকে। এবং সালিশী র্পযায়ে র্কাযক্রম চালাতে থাকে। তারপর দারোগা সাইফুল ইসলামকে মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান পুর্বের বিষয়টি আবারো অবগত করে বলেন, আমরা কয়েকবার সামাজিকভাবে চেষ্টা করেছি। গৃহকর্মীকে আপনি একটু জিজ্ঞাসা করুন আর আমার বাসায় এসে রুমগুলি দেখুন। আর আইনানুগভাবে কিভাবে সহায়তা পেতে কি করণিয় আমাকে জানান। একপর্যায়ে আচমকা তেলে বেগুণে জ্বলে উঠে দারোগা সাইফুল। এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা বলার পরেও তাঁর সাথে খারাপ আচরণ করে। আর হুমকী দিয়ে বলে দেখে নিবো। আমাকে চিনস।
এমতাবস্থায় একজন সাংবাদিক এসে জিজ্ঞাসা করলে তাকেও গালমন্দ করতে থাকে। তারপর সাংবাদিকও যখন বলছে আপনিতো দায়িত্বে আসছেন এভাবে রাগান্বিত কেন হচ্ছেন। আপনি উত্তেজিত হবেন না। এই বলার পর আরো চটে যায় এসআই সাইফুল ইসলাম। একপর্যায় অনেকভাবে ঠান্ডা করার চেষ্টা করলেও পুরো এলাকা ও সড়কে এসে অকথ্য ভাষায় কথা বলতে থাকে দারোগা সাইফুল ইসলাম। তারপর সাথে সাথে এ বিষয়টি সদর মডেল থানা ওসি শাহিন শাহ পারভেজকে জানায় নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ এর প্রকাশক ও সম্পাদক, জাতীয় দৈনিক মাতৃছায়া নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকন।
এসময় সদর মডেল থানা ওসি শাহিন শাহ পারভেজ অবগত হলে তিনি দেখছেন বলে প্রতিশ্রুতিও দেন। আর ঠিক সেসময়ই আলাপরত অবস্থায় আবারো এসআই সাইফুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে বলে আমি এসআই সাইফুল ইসলাম। আমার বাড়ি গফুর গাঁও। কারে ফোন দেস চিনস আমারে। তোরে দেইখা নিবো। যেখানে পারেন সেখানে যান। এ বলে মারধরের লক্ষে প্রায় সাংবাদিকের গায়ের উপর উঠে যাওয়ার অবস্থা।
তারপর কিছুক্ষন পরেই আবারো সে সন্দেহভাজন চোর ও স্থানীয় কিছু লোকদের ম্যানেজ করে এবং উল্টো মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিককে হয়রানী করার জন্য পরার্মশ দেয় স্থানীয়দের। এসময় সাংবাদিক পিছনে গিয়ে শুনে ফেললে তিনি স্থানীয় একজনকে বলেন যা বলেছি সেই কাজটি করেন। এবং আবারো ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমি বাল ছিড়ার জন্য আসছি। তোরে ডাকছি। দেহি পারলে আমার একটা বাল টাইনা নি ছিড়তে পারে। বদমাইস . . . . . . . . আমি দারোগা সাইফুল আমারে চিনোস.. . .. ..গফুর গাওঁ আমার বাড়ি। দেখিস আমার ক্ষমতা। আমি শামীম ওসমানকে বলব। আর এমন ঘটনায় একজন মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকের ব্যপক সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মনে করে সচতন মহল। তাঁর এমন আচরণে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে সাংবাদিক মহল। অবিলম্বে এস আই সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে র্উধ্বতন কর্মকর্তারা এ ব্যপারে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নিবে বলে আশাবাদি সাংবাদিকবৃন্দ ও সচেতন মহল।