সুমি হত্যায় তদন্তকারী অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন, টায়ারে অগ্নিসংযোগ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : গৃহবধূ সুমি আক্তার হত্যা মামলা থেকে এজাহারভুক্ত দুই আসামীকে বাদ দিয়ে চার্জসীট প্রদান করায়, তদন্তকারী কর্মকর্তার অপসারণ ও বিচারের দাবীতে নিহতের পরিবার, স্বজন, বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসী মানবন্ধন পালন করেছে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা চনপাড়া-কামশাইর-ইছাখালী সড়কে টায়ারে অগ্নিসংযোগ ও সিমেন্টের খুটি ফেলে আধঘন্টাব্যাপি রাস্তা অবরোধ করে রাখে। এসময় সড়কের দুইপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। শনিবার দুপুরে নগরপাড়া সেতুর সামনে এ কর্মসূচী পালন করা হয়।

নিহত সুমি আক্তারের পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, গত ১৭ জুন  যৌতুকের দাবীতে সুমি আক্তারকে তার স্বামী জুয়েল মিয়াসহ তার পরিবার শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় সুমির পিতা বাদী হয়ে স্বামী জুয়েল মিয়া, ভাসুর সোহেল মিয়া, শ্বশুড় মারফত আলী ও শাশুড়ী মিনারা বেগমকে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক রুবেল হোসেন শ্বশুড় ও শাশুড়ীকে এজাহার থেকে বাদ দিয়ে চার্জসীট প্রদান করে। চার্জসীট থেকে দুই আসামী বাদ দেওয়ার কারণে ও তদন্তকারী কর্মকর্তা রুবেল হোসেনের অপসারণ দাবী করে নিহতের পরিবার, স্বজন, ব্রাইট শিশু কানন হাই স্কুলসহ বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসী শনিবার দুপুরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। মানবন্ধন কর্মসূচীতে নিহত সুমি আক্তারের পিতা সিরাজ ভূইয়া বলেন, আসামী করা হয়েছে ৪ জনকে। কিন্তু দারোগা আসামী পক্ষ থেকে টাকা খেয়ে দুইজনের নামে চার্জসীট দিয়েছে। আমরা তার অপসারণ চাই।

একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা চনপাড়া-কামশাইর-ইছাখালী সড়কের নগরপাড়া ব্রীজের সামনে টায়ারে অগ্নিসংযোগ ও সিমেন্টের খুঁটি ফেলে আধঘন্টাব্যাপি সড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় সড়কের দুইপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক ( এসআই ) রুবেল হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে বলেন, তদন্তে দুজনকে পাওয়া গেছে। তাই দুজনের নামেই চার্জসীট পাঠানো হয়েছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত