নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (ফরিদ আহম্মেদ বাধঁন ) : নারায়ণগঞ্জ জেলা ফতুল্লা থানার কাশিপুরের হোসাইনি নগরে মাদক ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের হাতে দুইজন খুন হয়েছে। নিহতরা হলো, সন্ত্রাসী বরিশাইল্যা ফিরোজের সেকেন্ড ইন কমান্ড মিল্টন ও তার সহযোগী পারভেজ। এ হত্যাকান্ডের পর পুলিশ সুপার মঈনুল হক পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক সার্কেল) শরফুদ্দিন, ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন, জেলা ডিবি পুলিশ ও র্যাব-১১ এর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন ।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি নেতা আব্দুল মজিদ ও তার ভাই হাসান আহম্মেদের ছত্রছায়ায় থেকে বরিশাইল্যা ফিরোজ বাহিনী বেপরোয়া হয়ে উঠে। তারা কাশিপুর,বাবুরাইল,ভূইয়াপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল। নিহত মিল্টন ছিল বরিশাইল্যা ফিরোজের সেকেন্ডে ইন কমান্ড। বরিশাইল্যা ফিরোজের মৃত্যুর পর উপরোক্ত এলাকাগুলোতে চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসা,নিরীহ মানুষের জমি দখলসহ নানা অপকর্মের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় মিল্টন। অপরদিকে ছায়াবৃত্ত নামের একটি মাল্টিপারপাসের ব্যবসা ছিল মিল্টনের বাবা শাহেব আলীর। তার বাবার মৃত্যুর পর সে তার বাবার ব্যবসাও শুরু করেন। এ ব্যবসার আড়ালে মিল্টনসহ একটি সন্ত্রাসীগ্রুপ চাঁদাবাজী,মাদক ব্যবসা, নিরীহ মানুষের জমি দখলসহ নানা অপকর্ম চালাতো বলেও জানান তারা ।
এলাকাবাসী আরো জানায়, গত কয়েকদিন ধরেই মাদক ব্যবসা নিয়ে প্রতিপক্ষ বাপ্পি গ্রুপের সন্ত্রাসীদের সাথে বিরোধ দেখা দেয় মিল্টনের। এর জের ধরে তিনদিন আগে বাপ্পিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে মিল্টন। বর্তমানে বাপ্পি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ রয়েছে । এর জের ধরেই ১২ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাপ্পির সহযোগীরা মিল্টনের ভাড়া বাসায় গিয়ে প্রথমে হামলা চালিয়ে ভাংচূর করে। এসময় মিল্টন তার বাসায় ছিল না।
এরই মধ্যে হামলাকারীরা মিল্টনের অবস্থান জানতে পেরে পাশর্^বর্তী রাজিবের রিক্সার গ্যারেজে গিয়ে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা মিল্টন, ঐ মাল্টিপারপাসের ম্যানেজার পারভেজকে এলোপাথারী কুপিয়ে হত্যা করে। চলে যাওয়ার সময় হামলাকারীরা গ্যারেজে অগ্নি সংযোগ করে বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন । রাত ১১টার দিকে পুলিশ সুপার মঈনুল হক পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।
এসময় পুলিশ সুপার গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদেরকে আমরা সনাক্ত করতে পেরেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।