নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বাংলাদেশে এখন ভযাবহ আকার ধারণ করেছে বন্যা পরিস্থতি। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট জেলায় এর প্রকট ভয়াবহ। দিনাজপুর বা কুড়িগ্রামের অনেক জায়গায় স্থানীয়রা বলছেন তারা জীবনে এরকম দুর্যোগের মুখোমুখি হননি।
জানা গেছে, সরকারি হিসাবেই ২১টি জেলায় অন্তত ৩৩ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৪০ ছাড়িয়ে গেছে। অনেকগুলো জেলায় রাস্তা, রেললাইন ডুবে যোগাযোগ ব্যবস্থা বির্পযস্ত হয়ে পড়েছে। উপদ্রুত লাখ লাখ মানুষ সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও উঁচু জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। পুরো দিনাজপুর জেলাই বন্যার পানিতে তলিয়ে রয়েছে পাঁচ দিন ধরে। সেখানকার মানুষ গত প্রায় তিন দশকে বন্যার এত পানি দেখেননি। জেলা শহর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে গ্রামে অনেক ঘরের টিনের চাল পর্যন্ত পানি। ঘরের কিছুই বের করতে পারিনি অনেকেই। শুধু মানুষগুলো বেরিয়ে এসে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠে আশ্রয় নিয়েছে তবে ঐখানে খাদ্য এবং খাবার পানির অভাবে তাঁরা এখন খুব অসহায় জীবন যাপন করছে।
আর এসব বন্যা দুর্গতদের পাশে সহযোগীতায় এবার প্রাণপন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের গণমানুষের নেতা প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমান, কন্যা আফরিন ওসমান ও জামাতা ইফতেখায়রুল ইসলাম। তাদের জন্য সরাসরি অনুদান সহ প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক গ্রুপ তৈরী করেছে। যেখানে প্রযুক্তির ব্যবহার সহ সরাসরি গেট টুগেদার মেম্বারদের সাথে মিটিং ও আলোচনা সভার মাধ্যমে সহযোগীতায় এগিয়ে আসার জন্য উৎসাহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি নগদ র্অথ অনুদান জমা করা হচ্ছে। যা থেকে বন্যার্তদের খাদ্য এবং খাবার পানির অভাবের কিছুটা হলেও লাগব করার বিন্দু মাত্র প্রচেষ্টা বলে জানিয়েছেন প্রয়াত এই সাংসদের সন্তানেরা। এছাড়াও নিজেদের লক্ষাধিক টাকার নগদ আর্থিক অনুদানও যোগ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে পৌছায়নি ক্রাণ সামগ্রী এবং মিডিয়া কভারেজ করাও অনেকটা অসম্ভপর। খুব শিঘ্রই বন্যা দুর্গতদের সহযোগীতায় ত্রাণ নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তারাঁ।