নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (নগর প্রতিনিধি) : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে অনেক খেলা হচ্ছে। যারা খেলছেন খেলতে থাকেন। মনে রাখবেন আমরা কিন্তু খেলোয়াড়। সেই খেলা সুপ্রিম কোর্ট হউক, বিএনপি হউক, খালেদা জিয়া তারেক হউক, জামায়াত হউক কোন সমস্যা না। ওই খেলায় আমরাই জিতবো। আমরা প্রস্তুত ছিলাম, আছি এবং থাকবো। খেলা হবে, এবং আমরা জিতবো। কারণ আমরা খেলোয়ার। বিএনপির হেচড়া ছেচরা কয়েক লোক বলে নারায়ণগঞ্জে নাকি আওয়ামী লীগের অবস্থা খারাপ। কিন্তু আজকে যেখানে তাকাচ্ছি শুধু লোক। সামনেও লোকের শেষ দেখিনা। পিছনেও শেষ দেখিনা। লাখো মানুষের এ জমায়েতই প্রমাণ করে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। যা আগেও ছিলো, আছে এবং থাকবে। ১২ই আগস্ট শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় শোক র্যালির আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে এখন ক্রান্তিকাল চলছে। ইচ্ছে ছিল আজকে সবাইকে নিয়ে র্যালি করবো। সবাই এক মঞ্চে উঠবো। আমি দাওয়াতও দিয়েছিলাম। দাওয়াত দিয়েছি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, আমার বড় ভাই মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার ভাই, আদরের ছোট বোন আইভীকে ফোনে দাওয়াত করেছিলাম। আমার অনেক নেতাকর্মী ক্ষুব্ধ তারা কেন আসেনি এ কারণে। আমার মনে হয় হয়তো তারা ব্যক্তিগত জরুরী কাজে আসতে পারেনি। তবে আমরা আগামীতে আবারও সমাবেশ করবো যেখানে সবাই একসঙ্গে থাকবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী আবু হাসনাত শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি চন্দন শীল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সামিউল্লাহ মিলন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, সোনারগাঁও থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামসুল ইসলাম ভূইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম।
শামীম ওসমান বলেন, শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনাই। বাংলাদেশ পাকিস্তান না। শেখ হাসিনা নওয়াজ শরীফও না। বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানে বসবাস করে না। যদি কেউ মনে করে, পাকিস্তানের আদালত দিয়ে পাকিস্তানে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা বাংলাদেশেও একই পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হবে-তাহলে তারা বোকার রাজ্যে বসবাস করছেন। দেশে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সমস্ত শকুন একদিকে হয়েছে মরণ আঘাত হানার জন্য। আমার নেত্রী শেখ হাসিনার উপর আল্লহর রহমত আছে বলে আমি বিশ্বাস করি।
শামীম ওসমান আরও বলেন, বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ষড়যন্ত্র শুরু না হলে রূপগঞ্জে এত আস্ত্র পাওয়া যায় না। এ অস্ত্র সরকারকে সাহায্য করার জন্য আনা হয় নাই। সেখানে শতাধিক হেভি মেশিনগান পাওয়া গেছে। রকেট লাঞ্চার পাওয়া গেছে। গ্রেনেড পাওয়া গেছে। এসএমজি পাওয়া গেছে, এলএমজি পাওয়া গেছে। নারায়ণগঞ্জের পুলিশই সেটা উদ্ধার করেছে। ওরা কি করতে চায়? ওদের টার্গেট একটাই। আর সেটা হচ্ছে আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। তাদের উদ্দেশ্য দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের সামনের দিকে এগুনোটা বন্ধ করা। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা শেখ হাসিনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আমি শুধু স্পষ্ট বলতে চাই, যে শকুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে নজর দিবে সেই শকুনদের গলা চেপে ধরবে নারায়ণগঞ্জবাসী।
প্রসঙ্গত, বাঙালী জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে শোক দিবস উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান শোকর্যালীর আয়োজন করেন। এ উপলক্ষে শহরের চাষাড়ায় সলিমুল্লাহ সড়কে ৩টি ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরী করা হয়। আর সেখানেই জড়ো হতে থাকে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামলীগ ও অঙ্গসংগঠন নেতাকর্মীদের লাখো জনতার ঢল। বিশাল শোক র্যালীতে অংশ নিতে বিভিন্ন থানা, ওর্য়াড, ইউনিয়ন থেকে আগত লোকজন কালো পতাকা নিয়ে হাজির হন। বক্তব্য শেষে শামীম ওসমানের নেতৃত্বে কালো পতাকা সম্বলিত একটি বিশাল মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ, মহানগর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মুন্না, যুব মহিলালীগের সভানেত্রী ইয়াসমিন সুইটি, জেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী শিরিন বেগম, মহানগরের সভাপতি ইসরাত জাহান স্মৃতি, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, হোসিয়ারি সমিতির সভাপতি নাজমুল আলম সজল, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, সহ সভাপতি মিনহাজুল ইসলাম রিয়াদ, মিজানুর রহমান সজিব,মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ প্রমুখ।