নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( মাহমুদ হাসান কচি ) : নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবার হচ্ছে ওসমান ও চুনকা পরিবার। এই দুই পরিবারের অবদান শুধু নারায়ণগঞ্জ জেলা ভিত্তিক সীমাবদ্ধ থাকেনি জাতীয় রাজনীতিতেও তাদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। দেশের স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময় থেকে শুরু করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন ও স্বাধীনতা যুদ্ধেও পর ভিবিন্ন আন্দোলন র্দূযোগে উল্লেখিত পরিবার দুটির যথেষ্ট অবদান রয়েছে বিশেষ করে ওসমান পরিবার এদেশের সাদিকার থেকে স্বাধীনতার আন্দোলন পর্যন্ত বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের সাথে উতোপ্রোতভাবে জড়িত থেকে নানাভাবে সহযোগীতার কারণে দলের মধ্যে একটি শক্ত ভীত তৈরী হয় এবং স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে ।
দেশ স্বাধীনের পর স্বাধীনতা বিরোধীরা বুঝতে পারে এই দুই পরিবারের মধ্যে মিল থাকলে এই নগরীতে তাদের অবস্থান করতে কষ্ট হবে। অতএব যে করেই হোক তাদের বিভক্তি করতেই হবে। শুরু হয় বিরোধী চক্রের মিশন এক পর্যায়ে সফলও হয়। তাদের বিভক্তির কারণে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের মধ্যে দুটি ভাগ হয় । একটি পক্ষ হয় প্রয়াত পৌর পিতা আলী আহাম্মদ চুনকা এবং অপরটি প্রয়াত ভাষা সৈনিক জননেতা একেএম সামসুজ্জোহার । নারায়ণগঞ্জে শুরু হয় দুই প্রান্তের দুই ধারার রাজনীতি। এক নগরীতে একই রাজনীতি সংগঠনের দুই ধরনের রাজনীতির কারণে ফলে শক্তিশালী আওয়ামীলীগের সকল কর্মকান্ডই র্দূবল হয়ে পড়ে।
এই নগরীতে উত্তর ও দক্ষিন প্রান্তের রাজনীতির রেশ চলে বেশ কয়েক বৎসর। সে সময়ে দক্ষিন প্রান্তের আওয়ামীলীগ সর্মথিত গ্রুপটির নেতৃত্বে দিতেন প্রয়াত পৌর পিতা আলী আহাম্মদ চুনকা এবং উত্তর প্রান্তেরটি নেতৃত্বে ছিলেন প্রয়াত ভাষা সৌনিক জননেতা একেএম সামসুজ্জোহা। তাদের বিভক্তির কারনেই এক সময় স্বাধীনতা বিরোধীরা চাঙ্গা হয়ে উঠে । নানা আন্দোলনের সুতিকাগার এই নারায়ণগঞ্জের সব কিছুই চলে যায় স্বাধীনতা বিরোধী তথা সুশীল চক্রের হাতে।
এক সময়ে দুই নেতা চলে যান না ফেরার দেশে এবং দলের একনিষ্ঠ ত্যাগী নেতাদের অকলান্ত প্রচেষ্টায় উত্তর ও দক্ষিন মেরুর মিলন হয়। আওয়ামীলীগ রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় আসে নারায়ণগঞ্জের ৫ টি আসনেই আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের বিজয় হয়। কিন্তু বিরোধীরা সহজেই মেনে নিতে পারেনি তাই পূনরায় নীলনকশার ছক বেঁধে শুরু করে চক্রান্ত যা এখনও চলছে।
জনশ্রোতি রয়েছে আওয়ামীলীগের দ্বিধা-বিভক্তির কারনেই নারায়ণগঞ্জে যতোটুকু উন্নয়নের প্রয়োজন ছিলো তার একাংশ কাজ হয়নি। দেশ স্বাধীনের পর আওয়ামীলীগ পরপর তিন মেয়াদ সরকার গঠন করলেও সকল দিক থেকে বঞ্চিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ তথা নারায়ণগঞ্জবাসী। আর এই সুযোগে সুবিধা আদায় করে নিয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের বর্তমান প্রজন্মের সদস্যরা । তবে এই প্রজন্মকে স্বাধীণতা বিরোধীদের থেকে রক্ষা করতে আওয়ামীলীগের হাল ধরে ওসমান পরিবারের সদস্য এ.কে.এম শামীম ওসমান ও চুনকা পরিবারের সদস্য ডা: সেলিনা হায়াত আইভি।
আওয়ামীলীগ দ্বিতীয় দফায় রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় আসার পর স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের বর্তমান প্রজন্মের সদস্যরা চক্রান্তে নীল নকশা অনুযায়ী পরিকল্পিতভাবে দুই পরিবারের মধ্যে পূনরায় আগুন লাগিয়ে ফায়দা লুটতে চাচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা। একদিকে এই দুই পরিবার যতই ঐক্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, অন্যদিকে একটি গোষ্ঠী ততই ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করে তারা দূরে বসে মওকা হাসিল করছে।
তাই রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহল থেকে শুরু করে সমগ্র নারায়ণগঞ্জবাসী মনে করেন, বর্তমান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান ও নাসিক মেয়র আইভীর মধ্যে ঐক্য হলে দেশের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ সবচেয়ে শক্তিশালী হবে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জকে একটি আধুনিক নগর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে খুব বেশী সময়ও লাগবে না। কারণ দুই জনই খুব জনপ্রিয় ব্যাক্তির অধিকারী ও জনপ্রতিনিধি। শুধু তাই ই নয় দুই জনের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জকে উন্নত নগরী হিসেবে গড়ে তোলার যথেষ্ট ইচ্ছো ও প্রচেষ্টা রয়েছে।
না/রা/লিংকন