নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ) : সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন মিয়ার নেতৃত্বে সিদ্ধিরগঞ্জের রাজনীতিতে অগ্রযাত্রার মাইলফলক পাড়ি দিচ্ছে। আগামী ১৫ই আগষ্টের শোক দিবসে বিএনপি যেন জন্মদিন পালন করতে না পারে সেদিকে তীক্ষè দৃষ্টি রাখতে পুলিশ, প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ ও সকল অঙ্গসংগঠনকে নির্দেশ এবং অনুরোধ জানিয়েছেন। কোনভাবেই সিদ্ধিরগঞ্জে এই শোকাবহ মাসে জন্মদিন হবে না । ৯ই আগস্ট বুধবার বিকালে একান্তু সাক্ষাতকালে নেতা কর্মীদের এই নির্দেশনা দিয়েছেন বলে এসবকথা বলেন। আর এই নির্দেশনাকে ঘিরে সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় আওয়ামীলীগের একাধিক নেতাকর্মীরা জানায়, নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১ নং থেকে ১০ নং ওয়ার্ড অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করে আসছেন হাজী ইয়াসিন মিয়া। তিনি প্রতিটি ওয়ার্ডের সভাপতি সাধারন সম্পাদকের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রক্ষা করে আসছেন। ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ যে কোন বিষয়ে তাকেই সবসময় কাছে পান। সিদ্ধিরগঞ্জের প্রতিটি আন্দোলন সগ্রামের যোগান দিয়েছেন হাজী ইয়াসিন মিয়া। তাই এই শোকাবহ মাসে আমরা তার র্নিদেশে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছি এবং করবো।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা প্রচারলীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতু বলেন, তার বিকল্প সিদ্ধিরগঞ্জে কল্পনা করতে পারে না আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। অবহেলিত নেতা কর্মী ও অভিমানী নেতাকর্মীদেরকে অতীত সময়ের কর্মকান্ডের প্রতিদান দিয়ে তিনি সাহস যোগিয়েছেন। আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্য লালনকারী নেতা কর্মীদের রাজপথে সক্রিয়া রাখতে দিনরাত নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এই নেতা। তার হাতকে শক্তিশালী রাখতে ও সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগকে আগামী দিনে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে জননেত্রী দেশরত্ন মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে হাসি ফোটানো ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মহানায়ক পদ্মা সেতু গড়ার জনক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকগনের সহযোগীতা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন তার ঘনিষ্টজনেরা।
থানা যুবলীগ সভাপতি প্রার্থী নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা এই জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে নানা কর্মসূচীতে অংশগ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হাজী ইয়াসিন মিয়ার নির্দেশে আমরা সকল কাজে তার পাশে আছি। সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগে কোন বিশৃঙ্খলা হলে হাজী ইয়াসিন মিয়া তা বলিষ্ঠ হাতে তাৎক্ষনিক সমাধান করে আসছেন। তিনি আওয়ামী লীগের ভুইফোড় সংগঠন গুলোকে কঠোর হস্তে দমন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি বিএনপি জামাত জোটের অপকর্মের বিরুদ্ধে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। দলীয় হাই কমান্ডের প্রতিটি নির্দেশনা তিনি বাস্তবায়ন করার জন্য নিজের অর্থ সময় ও শ্রম ব্যয় করে যাচ্ছেন। সিদ্ধিরগঞ্জের সাত সাংবাদিকে বিরুদ্ধে ফ্যামিলি ল্যাব হাসপাতালের মালিক বেলাল হোছাইন ভূইয়ার করা মিথ্যা মামলার তিনি কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সত্যের পক্ষে ইয়াসিন মিয়া তার জীবন উৎসর্গ করতেও প্রস্তুত রয়েছেন। হাজী ইয়াসিন মিয়ার নীতি আদর্শ বাস্তবায়ন করে তার মতাদর্শী নেতা কর্মীগন সিদ্ধিগঞ্জ আওয়ামী লীগ সুশৃঙ্খলার সাথে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার দিকে এগিয়ে চলেছে। হাইব্রিড ও সুযোগ সন্ধানী নেতা কর্মীরা তার কাছ থেকে শত মাইল দুরে অবস্থান করে। তিনি কখনও ওইসব নেতা কর্মীদের দলের শৃঙ্খলা নষ্ট করার সুযোগ দেন না। সেদিকে তার দৃষ্টি সবসময় সজাগ। তাদের বাছাই করে তিনি প্রতিনিয়ত দলকে শানিয়ে নিচ্ছেন। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলে সুন্দর সঠিক পরিবেশ তৈরীর জন্য তিনি নানাবিধ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন বলে জানান যুবলীগ নেতা।
থানা আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল ইসলাম জানান, নুর হোসেনের সাত খুনের ঘটনার পর সিদ্ধিরগঞ্জে রাজনীতিতে বিপর্যয় ঘটেছিল। সে সময় প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিটি কমিটিতে প্রতিটি অঙ্গসংগঠনের মধ্যে সরকারের ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা তৈরী হয়েছিল। দলে কিছু নেতা কর্মীরাই আওয়ামী লীগের বিরোধীতা করতে শুরু করেছিল। হাজী ইয়াসিন মিয়াকেও সেই সময় বিতর্কিত করার একটি অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু সত্যের কল বাতাসে নড়ে কথায় আছে। রাখে আল্লাহ মারে কে কথায় আছে। সেই হাজী ইয়াসিন মিয়াই এখন সিদ্ধিরগঞ্জ তথা নারায়নগঞ্জ জেলার রাজনীতিতে বড় ফ্যাক্টর হিসেবে রয়েছেন। সেই সময় বর্তমানের কথিত বড় নেতাদের কাউকে খুজে পাওয়া যায় নি। যারা এখন চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছেন। ইপিজেড থেকে শতশত কোটি টাকা হাতিয়ে বেড়াচ্ছেন তাদের সবাইকে আওয়ামী লীগের ডাকে মুখ ফিরিয়ে নিতে দেখা গেছে। কোথায় ছিল এই সকল নেতারা যারা এখন সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারন সম্পাদক হওয়ার স্বপ্ন দেখে? সুন্দর বাড়ি আর দামী গাড়ি ব্যবহার করছে তারা অথচ আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে তারা কি করেছিল তা সবার জানা রয়েছে। আওয়ামী লীগের মনিরুল সিদ্ধিরগঞ্জের সকল নেতা কর্মীকে হাজী ইয়াসিন মিয়ার হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগকে লালনকারী, ধারনকারী, রাজপথের লড়াকু সৈনিক, থানা আওয়ামী লীগের মুকুট, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ, নেতা কর্মীদের পাশে নিবেদিত প্রান, ভবিষ্যতের আশার আলো, আগামী নির্বাচনে সিদ্ধিরগঞ্জের পথপ্রদর্শক, তরুন সমাজের মাথার তাজ, জনগনের সুখ দুঃখের সাথী হাজী মিয়া। হাজী ইয়াসিন মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সারা দেশে যাই কিছু হোক না কেন এবার সিদ্ধিরগঞ্জে শোক দিবসে জন্মদিন পালন করতে দেব না। আমাদের শোকের দিনে তারা আনন্দ উল্লাস করবে তাও উদ্ভট একটা বিষয় নিয়ে যার কোন প্রমাণই নেই। নারায়ণগঞ্জের ৭ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানান এবং সত্বর প্রত্যাহার অথবা মিমাংসার জোর দাবী জানান। ১৫ই আগষ্টকে কেন্দ্র করে মাঠের ত্যাগী নেতাকর্মীদের চেনা যাবে। আগামী নির্বাচনের নিজেদের প্রস্তুতি কেমন হল তাও দেখা যাবে। সাংসদ শামীম ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগকে জয়লাভ করাব ইনশাআল্লাহ।