আধিপত্য বিস্তারে আ’লীগের উত্তেজনা, ফাঁকা গুলি, ধারালো অস্ত্র উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জ বার্তা  ২৪ : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ফাঁকা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমান ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় একটি ফার্মেসী ভাংচুর ও ওষুধ বিক্রেতাকে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ১৫ ফেব্রুয়ারী সোমবার বিকালে উপজেলার মুড়াপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুড়াপাড়া এলাকার বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা জাব্বার মেম্বারের সঙ্গে অপর আওয়ামীলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ আলমাছের বিরোধ চলে আসছিলো। ওই বিরোধের জের ধরে সোমবার বিকালে উভয় গ্রুপের লোকজন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুড়াপাড়া বাজার এলাকায় অবস্থান নেন। এসময় দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়।

এছাড়া মায়া সিনেমা হলের সামনে ৩টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানো হয়। অপর দিকে, জাব্বার মেম্বার সমর্থিতরা মিতু মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায়ে মিতু মিয়ার ফার্মেসী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যপক ভাংচুর করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লোকমান হোসেন ও রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহমুদুল ইসলামের নেতৃত্বে বিপুল পরিমান পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থল পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এদিকে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শাহজাহান ভুইয়ার ব্যক্তিগত অফিসের পাশ থেকে ১৫ টি রামদাসহ বিপুল পরিমান ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অপর দিকে, উভয় গ্রুপের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ফাঁকা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুড়াপাড়া এলাকার ভুইয়া মার্কেট, পাল মার্কেটসহ আশ-পাশের হাটবাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ ব্যবসায়ীরাই দোকানপাট বন্ধ করে দেয়।

এ ব্যপারে জাব্বার মেম্বার বলেন, কোন প্রকার বুঝে উঠার আগে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছসহ তার বাহিনীর সদস্যরা গুলি ছুড়ে।

অপর দিকে তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছ বলেন, আমিতো এলাকাতেই ছিলাম না। আমার লোকজন মুড়াপাড়া বাজার এলাকায় গেলে জাব্বার মেম্বারের লোকজন গুলি ছুড়ে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এছাড়া একজন নিরীহ পল্লী চিকিৎসককে জাব্বার বাহিনী রক্তাক্ত জখম করে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করেছে। জাব্বার মেম্বার বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করছে। আর এসবের প্রতিবাদ করায় আমার লোকজনের উপর এ হামলা চালিয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শাহজাহান ভুইয়া বলেন, কোন একটি পক্ষ বড় ধরনের ঘটনা ঘটানোর জন্য ধারালো অস্ত্র এখানে এনেছে।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহমুদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থল অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত