বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ফুটবলের পুরস্কার বিতরণের অতিথি বিএনপি জামায়াতের নেতারা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : রাজনৈতিক মাঠে আওয়ামীলীগ-বিএনপি নেতাদেরকে শাপ-বেজী বলা হলেও ইদানীং আর তা পরিলক্ষিত হয়না। বর্তমান সময়ে এর সবই যে ছলচাতুরী আর লোক দেখানো তার আর বুঝতে বাকী নেই। ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার এমনই ঘটনার বর্হিঃপ্রকাশ ঘটেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবলের টুর্ণামেন্টের পুরস্কার বিতরণী  অনুষ্ঠানে। র্পূব ঘোষিত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলা পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয় উপজেলার মদনগঞ্জ ওয়েল ফেয়ার ময়দানে।

এ টুর্ণামেন্টটি প্রতিবছরই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা বেগমের নামেই হয়ে থাকে। প্রত্যেক বছর এ টুর্ণামেন্টের পুরস্কার বিতরণীতে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদেরকে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ২০১৭সালের পুরস্কার বিতরণীতে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। অনুষ্ঠানটিতে বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী হাবিব সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে উপস্থিত থাকলেও বাকীদের অধিংকাংশই ছিলেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ফুটবলের বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ হান্নান সরকার, বন্দর উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট মাহামুদা আক্তার,বন্দর থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী, সাবেক ছাত্রদল ও বর্তমান জাসাস নেতা সেলিম হাসান দিলীপ, যুবদল নেতা সোহাগ প্রধাণসহ আরো অনেকে। বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্ণামেন্টের পুরস্কার বিতরণীতে বিএনপির নেতাদের সরব উপস্থিতি দেখা গেলেও আওয়ামীলীগ নেতাদের কাউকেই দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবারের ওই পরিস্থিতির কারণে স্থানীয়দেরকে ব্যাপক সমালোচনা করতে দেখা যায়।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক অভিভাবক জানান, টুর্ণামেন্টের আয়োজন আওয়ামীলীগের হলেও অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগের কাউকেই দেখা যায়নি। তার উপরে আবার অনুষ্ঠানে প্রধাণ অতিথি রাখা হয়েছিল বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি  আলহাজ¦ আতাউর রহমান মুকুল ও উপজেলা জামায়াতেই ইসলামীর আমীর সাইফুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা হান্নান সরকার। অনেককে মন্তব্যও করতে দেখা যায় বন্দর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌস আরা বেগম জামায়াত প্রীতি। প্রতিনিয়তই সে জামায়াত-বিএনপির লোকজনের আতাঁত রেখে চলেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত